বৈশাখী ঝড় বায়,
খেয়া ঘাটে চেপে নায়,
             গুটিকয় জনা মোরা যাত্রী;
যেতেছিনু দূর দেশে,
কথা আর হাসি-ক্লেশে
               নিতেছিনু যত সুখ আহরি।


কল-কল স্রোত ধায়,
ঢেউ উঠে তীরে যায়,
          পাষাণে ভাঙ্গে তীর কল্ললিনী ;
ডুবে যাওয়া ধান ক্ষেতে,
সাদা বক ওতপেতে,
        ফাঁদ পেতে বসে যেন শিকারিনী।


ঘন ঘন বালিচর,
তুলিতেছে ধূলিঝড়
           কোমলের শির দোলে বাতাসে ;
আকাশের কোল ঘেষি,
উড়ে যায় মেঘ রাশি
              টলে উঠে তরী ঝড় আভাসে।


জনে জনে অচেতন
ভীতু নয় তাঁর মন,
     ফুল-কলি তুলিছে সে জামাতে;
কেউ শুয়ে দিয়েছে ঘুম,
আমিও তো নিঝ্ঝুম,
        ভাবনায় ভাবিতেছি আমাতে।


উড়াল মেঘের কোণে
স্বর্গের সুখ বুনে,
            মনে বাঁধি স্বপ্নের নীড় ;
ঢেউয়ের গড়ান দোষে,
ধ্বসে পড়া তীর ধ্বসে
            সুখনীড়ে ধরে যায় চির।


বিচলিত নয়নে,
খুঁজি ধরা কোণে কোণে,
         কোথাও নেই সে নীড়ের লেশ ;
খুঁজিতে স্বপ্নরাজি,
ডাক দেয় খেয়া মাঝি,
            পথ যে হয়ে গেছে শেষ।
                          -মনোবীনা