হৃদয়! তুমি উদয় দেখেছ, সূর্যোদয়;
দেখেছ, পূবালীর দুর সীমানায়
পাহাড় চূড়ায়
নুয়ে পরা ঊষার আকাশে
কুসুমের মত কোমল সূর্যটা-
ধেয়ে উঠে উর্ধ্বশ্বাসে,
চারদিকে ছড়িয়ে দেয় রক্তিম আভা,
যেন সদ্য ফোটা এক রক্ত জবা।
কোথা থেকে দুফালি মেঘ, নির্ভয়-
উড়ে এসে রঞ্জিত আলোয়।


তখনো অদূরে আবছা আধাঁরে
আহত সৈনিকের মতনে,
ওৎপেতে বসে থাকে বাঁশঝারে,
ঐ দেবদারুর বনে।


ধীরে ধীরে নামে আলোকের ঢল,
ভূবন আলোক-উজ্জ্বল-
ফিরে যায় আঁধার, আঁধারের শেষ প্রান্তে,
কত ক্ষণ- ক্ষণান্তে-
ফিরে আসে ফের সূর্যাস্তের সন্ধিক্ষণে,
ঘন থেকে ঘনতরে ঘনে
কালো চাঁদরে ধরণীটা ঢেকে দিয়ে শেষে-
মেতে উঠে নিশি বিজয়ের উল্লাসে।
এমনি করে,
মহা-কাল-কালান্তরে,
মহা ভূবনে
প্রতিটি প্রহর, প্রতিটি ক্ষণে-
সকলের তরে, আলো-আঁধারে-
উদয় অস্তমিতের খেলা করে।