শহরের বুকে হঠাৎ-ই এক পলক তোমাকে দেখতে পেলাম,
তোমার দীপ্তিময় চোখ দুটো জ্বলজ্বল করছিলো,
ভীষণ ইচ্ছে করছিলো তোমার কাছে ছুটে যায়,
পেছন পেছন ছুটে গিয়েও গতিদানবের কাছে হেরে গেলাম!
হয়তোবা তোমার খুব কাছে গিয়েও প্রত্যাখ্যাত হতাম!
বিশ্বাস করবে কিনা জানিনা...
তবুও বলছি....
আজো আমি তোমার পথ চেয়ে থাকি
চন্দ্রনাথের পাদদেশে রক্তিম পলাশের নিচে দাঁড়িয়ে....
তোমাকে ছুঁয়ে যায় শিশিরের স্পর্শে,
কখনোবা মেঘনার কুলে দাঁড়িয়ে
তোমাকে খুঁজিফিরি সমুদ্রের কল্লোলে!


স্মৃতিগুলো আষ্টেপৃষ্টে জড়িয়ে ধরে, তোমার প্রিয়-
মাধবীলতা, সহস্রধারা, লাইব্রেরি চত্ত্বর,ডেবারপাড়
সম্ভূনাথের সিড়ি, বুদ্ধদেব, জয় গোস্বামী, কার্লমাক্স এবং পূর্ণদাশ বাউল!


আমি হয়তোবা এইসবে কিছুটা নিস্পৃহ ছিলাম!
রাজনীতির মাঠ ছিল আমার ধ্যানজ্ঞান,
এরমাঝেও ভীষণভাবে ছিলে তুমি।


আজ বহুদিন পর তোমাকে একমুহুর্তের দেখায়
ধুন্ধুমার কেঁপে উঠেছে আমার বুকের পাঁজর!


মৃত্তিকা--
ইতিহাসের পাতারা হয়তোবা ক্ষণে ক্ষণে পাল্টে যাবে!
তুমি থাকবে স্পন্দনে, এই বুকের ঠিক মাঝখানটায়।
আজ এতটা দিন পর তোমাকে দেখে মনে হলো বেশ সুখে আছো,
আমিও যে বেঁচে আছি- তোমার পথ চেয়ে।