দিলে তো পর করে
            ক্রমিক-নংঃ ১৯৬  
     ___ শাহাদাত সোহেল নীল.(কাকতাড়ুয়া)


দিলে তো আমায় পর করে, কয়েক বছর নয়
কয়েক মাসের ব্যবধানেও নয় কিংবা কয়েক মুহুর্তের।
কোমল হস্তে সু-শীতল মেহেদী রঙ্গ মাখিয়ে
অন্যকোন পুরুষের হাতে হাত রেখে
পাড়ি জমালে দূর হতে দূর- দেশে।।


তুমি কি কখনো ভুল করেও ভালবাসনি
নাকি বন্ধুর চেয়ে বেশি কিছু আমায় কখনো ভাবনি।
সেই ছোট্ট বেলা হতে, তোমার হাতে হাত রাখব বলে
ভুল করেও স্পর্শ করিনি কারো হাত।
তোমার সঙ্গে পায়ে পা মিলিয়ে চলব বলে
করিনি অনুসরণ কোন তরুণীর পথ।
ঘুমের ঘোরেও বসতে দিনি দু'চোখের পাতায়
কোন রহস্যময়ী মায়াবতী কিংবা বনলতা কে।
দিন নয়, মাস নয় কিংবা বছরও নয়
একেবারে হঠাৎ করে, দিলে তো আমায় পর করে।।


যেদিন হতে বুঝতে শিখেছি সম্পর্কের মানে কি
বিশ্বাস মানে কি কিনবা ভালবাসা কাকে বলে
ঠিক সেই দিন হতে কোন ছলনাময়ীর ছায়াও স্পর্শকরিনি।
হয়তো তোমায় এসব কথা কখনো বলিনি
তাই বলে এমনটা কখনো ভেবো না তোমাকে ভালবাসিনি
কাল নয় যুগ নয় এবং কি কয়েক প্রহরও নয়
একেবারে হঠাৎ করে, দিলে তো আমায় পর করে।।


কতরাত জেগে স্বপ্ন বুনেছি, তোমারি অপেক্ষায়
আরও কত কি ভেবেছি, উড়বো দু'জনে দিগন্ত তটরেখায়
ভর দিয়ে পক্ষীরাজের পাখায়।
তোমার নিয়ে যাব দূর হতে বহু দূরের দেশে
যেখানে চন্দ্ররা খেলা করে বুড়ি মা'র সাথে।
আচ্ছা এগুলো কি শুধুই স্বপ্ন রবে
না কোন এক কালে পূর্ণতাও পাবে?
শতাব্দী নয়-পক্ষ নয়, কয়েক সেকেন্ডও নয়
একাবারে হঠাৎ করে, দিলে তো আমায় পর করে।।


তোমাকে আপন করে নিব বলে
অপেক্ষায় পার করেছি একে একে সতেরটি বসন্ত
তবুও একবারেও ছুঁতে পারেনি আমায় ক্লান্ত।
শান্ত বিকালে মরুভূমির রুক্ষতা ছুঁয়েও খোঁজ করেছি তোমায়
তুমি কেন আমার অব্যক্ত মনের ভাষা চোখে চোখ রেখে
কখনো বুঝতে চাওনি "অস্মিতা"?
বছর নয় মাস নয় এবং কি দিনও নয়
একেবারে হঠাৎ করে, দিলে তো আমায় পর করে.......।।


রচনাকালঃ ১৮--০৫--২০১৬ইং
বাগবাড়ী, লক্ষ্মীপুর।


[যেকোন ভুল-ত্রুটি মতামত অবশ্যই জানাবেন
এবং ভাল লাগলে শেয়ার করবেন]