দু-প্রহরের কাব্য
       ক্রমিক-নংঃ ২৩০
         ______ শাহাদাত সোহেল নীল.(কাকতাড়ুয়া)


এখন দু-প্রহরের রাত্রি...!
ভাঙ্গা দেওয়ালের পাশে বাশ ঝাড়ে চলছে পেতআত্মার পায়চারী
মাথার উপরে যান্ত্রিক নিয়ম মেনে পাখাটা করছে ছুটাছুটি
বসে আছি বাতায়নের ধারে। এলোমেলো বাতাসে উড়ছে খোলা ডায়েরী
আমি একেলা জেগে ভাবছি নিষক্রিয় হয়ে তোমাকেই
যে তুমি হয়তো ভুলে গেছো, অনেক আগে আমাকে।।


হ্যাঁ  তোমাকেই, তোমাকেই ভাবছি আমি
কি করছো এখন তুমি?
জাগ্রত নাকি ঘুমাতে ঘুমাতে ক্লান্ত হয়ে আবার ঘুমিয়ে পড়েছো!
দিন ভর করেছো স্বামী-সন্তানের আরাধনা
জানো? আমি এখনো ঘুমাতে পারিনি।
আর তাই তো উন্মাদনায় নিষক্রিয় সত্ত্বা হয়ে তারা গুণছি
আর তুমি হয়তো ঘুমের ঘোরেও স্বামী-সন্তানকে নিয়ে
আগামী দিনের প্রত্যাশায় একের পরে এক স্বপ্ন বুনছো।।


সত্যি বলতে কি আজ রাতের আকাশটা
সত্যি বড্ড সুন্দর। বাহিরে কি সুন্দর জ্যোৎস্নার মাখামাখি
আচ্ছা মনে আছে তোমার? আমরা যখন
সেইদিন সন্ধ্যায় সমুদ্রতট ধরে হেটে যাচ্ছিলাম।
ঠিক তখনি তুমি থামিয়ে দিয়ে বললে আমায়
বিয়ের পরে প্রতিটি জ্যোৎনাময়ী রাত জাগব দু'জন এক সাথে
বসবো বারান্দায় কিংবা খোলা-আকাশের তটে বিপরীত সম-মুখে
অতঃপর তোমার অপলক চাহনির নির্জীবতায়
আর আমার নির্বাক হয়ে এক দৃষ্টিতে তোমার পানে চেয়ে থাকা
আরও কত কি বলেছিলে তুমি সেদিন...............।
তবে আজ রাতটা সত্যি খুব সুন্দর, তবে আরও সুন্দর হতো
যদি তুমিও জেগে জ্যোৎস্না দেখতে আমার সঙ্গে।।


কি হল ওঠো না প্লিজ একটু চেয়ে দেখো আকাশটার দিকে
খুব সুন্দর তাই না? ঐ যে তারা গুলোকে দেখ। দেখতে পাচ্ছো?
ওরাও জেগে আছে তোমারি জন্য, তোমারি অপেক্ষায়।
বিধাতা তোমায় জানাই ধন্যবাদ, এমন মধুর রাত্রির জন্য।
ঐ চাঁদটাকে দেখ; কতো কলঙ্ক গাঁয়ে তবুও সে জেগে
আর তুমি একটুতেই ক্লান্ত হয়ে আবার ঘুমিয়ে পড়েছো?


আচ্ছা তোমার মনে আছে?
আমাদের প্রেমের শুরুতে বয়সটা যখন চলছিল সন্ধ্যির মাঝপথে
তখন খুব ঝগড়া হতো চাঁদটাকে নিয়ে
এই দেখ। আরে দেখ না জলের দিকে তাকিয়ে দেখ
দেখতে পাচ্ছো আজ দু-দুটো চাঁদ। হা-হা-হা
আচ্ছা এমন যদি হতো, সত্যি যদি দু-দুটো চাঁদ হতো
একটা তোমার আরেকটা আমার। তবে কেমন হতো?
জানালার কাছে আরও কাছে এসো দেখ
বাতাসকে বলেছি আমার অনুভূতি গুলো যেন তোমার তরে নিয়ে যায়
তুমি কষ্ট হলেও একটু ছুয়ে দিও। আর কিছু না হোক
তারা আবার দেহে প্রাণ তো ফিরে পাবে...........।
আরে! পেতআত্মারা গেলো কোথায়?
তাদের বাশ ঝাড়ে পায়চারী বন্ধ কেন?
আজব তো ঝিঁঝিঁ পোকারা আবার কোথায় হারালো
ধ্যুৎ চাঁদের বুড়িটাও চাঁদমামাকে ঘুম পাড়িয়ে দিল
এখন আমি গল্প করব কার সঙ্গে?
যাক বাবা, নেশার ঘোরে হলেও অবশেষে আমার তারা গোনা হলো শেষ
"অহংকারী" তোমার হলে বলো,
         আমি এবার লক্ষ্মী ছেলের মতো ঘুমাবো...........।।


রচনাকালঃ ০৯--০৬--২০১৭ইং


[[বিঃদ্রঃ যেকোন রকম ভুল নজরে এলে অবশ্যই জানাবেন।সংশোধন করব এবং ভাল লাগলে লাইক, কমেন্ট ও শেয়ার করবেন অবশ্যই]]