এইটুকু ইচ্ছে আমার
              ক্রমিক-নংঃ ২৪৮
      _____ শাহাদাত সোহেল নীল.(কাকতাড়ুয়া)


একটু সময় দিবে আমায়, অস্মিতা....?
অনেক দিনের জমানো ইচ্ছে আমার
তোমার সাথে মুখামুখি বসিবার।
কোন এক শিশির স্নাত বিকেলের; শেষ আলো
যখন পড়বে তোমার সোনালী মুখে
শুধু দু'চোখ ভরে নয়, মন ভরেও দেখব তোমায়
এসে পূর্ণ করে দাও, খাম-খেয়ালী ইচ্ছেটা আমার।।


সাত-সকালে রোজ এসে, এক কাপ চা হাতে
বসবে যখন পাশে। আড়ালে তে সূর্য তখন মিটমিটে হাসে
ওঠো না মিষ্টার, বলবে একটু রেগে
আর কত ঘুমাবে? সকাল তো হয়ে গেছে অনেক আগে।
এসে পূর্ণ করে দিবে, এরূপ বেখায়ালী ইচ্ছেটা আমার।।


কাজে যাওয়ার আগে, পিছন হতে জড়িয়ে ধরে
কানের কাছে মুখ রেখে। বলবে, ফিরে এসো বিকালের আগে
তুমি তো জানো, অন্ধকার আমার ভয়ে কারণ
তোমাকে ঘিরে বাঁচতে চাই। আসুক যতই বাঁধা-বারণ।
এসে পূর্ণ করে দিবে, এমন ভালবাসা পাওয়ার ইচ্ছেটা।।


বৃষ্টিতে ভিজে একগুচ্ছো কদম হাতে
দাড়াবো যখন ভেজা কাক হয়ে, তোমারি সামনে
শাড়ির আচল দিয়ে মাথা মুছতে মুছতে
চোখ রাঙ্গিয়ে বলবে কথা। কে বলেছে করতে এমন বাড়াবাড়ি!
তুমি জানো না, আকাশের কোণে বিদ্যুৎ চমকালে ভয় পাই আমি।
আর কোন দিন যদি করেছো এমন, ভয়ানক পাগলামি
তবে জেনে রাখো, আমার থেকে খারাপ কেউ হবে না। বুঝলে তুমি?
এসে পূর্ণ করে দাও না, শাষণ পাওয়ার ইচ্ছেটা আমার।।


স্পেসাল কোন ছুটির দিনে ভ্রমনে যাব, দু'জন মিলে
তাড়াহুড়োয় শাড়ির কুচিতে করবে তুমি ভুল
আমি নিজ হাতে ঘুছিয়ে দিবো শাড়ি হতে চুল।
কপালের উপরে চাঁদটা যেন বাঁকা থাকে
যেনো ঠিক করার সুযোগে, তোমায় একটু ছুয়ে দিতে পারি।
অথবা, ইচ্ছে করে ব্লাউজের পিছনের হুকটা খোলা রেখে দিবে
বলবে তুমি মিষ্টি করে, আমি পারছি না। তুমি একটু লাগিয়ে দিবে?
অতঃপর হাতে-কানে-গলায় নিজ হাতে ম্যাচিং করে সাজিয়ে দিবো তোমায়
দয়া করে এসে পূর্ণ করে দিবে, তোমায় ছোঁয়ার ইচ্ছেটা আমার।।


জীবনের শেষ গন্তব্যে পৌছানো পর্যন্ত সঙ্গী হবে কি আমার?
যেনো আমি গর্ব করে বলতে পারি, তুমি আমি ছিলাম
দু'জন দু'জনার
শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করতে চাই, তোমার বুকে মাথা রেখে
এসে পূর্ণ করে দিবে, শেষ ইচ্ছেটা আমার অহংকারী?


রচনাকালঃ ০৯--০৬--২০১৭ইং
বাগবাড়ী, লক্ষ্মীপুর।


[[ অহংকারীর আঠারো'তম জন্মদিনের বিশেষ উপহার ]]