অনেক সময়, আমাদের দু' চোখ ভিজে যায়,
টলমল করতে থাকে অশ্রুকণা।
শুধু গড়িয়ে পড়ে না,, হয়তো আমরা পড়তে দি না তাই!
পরিস্থিতি দেয় না, তাও বলা যায় ।
অনেক কষ্টের মুহুর্তের আমরা কাঁদতে চাই,
বা কান্না এসে যায়,, কিন্তু পারি না
কারণ পরিস্থিতি আমাদের কাঁদতে দেয় না ।
তখন বাধ্য হয়ে সেই কান্না গিলে ফেলতে হয়।
যেদিন থেকে আমরা কান্না গিলা শুরু করি
তখন থেকেই সবাই বড় হওয়ার খাতায় নাম লিখিয়ে ফেলি।
অশ্রুর কোন রং নেই, তবে স্বাদ আছে।
বিষাদের স্বাদ যেমন, অশ্রুর স্বাদ টা ও তেমন।
কষ্টের ও স্বাদ আছে।যদি ও কষ্টের রং নাকি নীল সবাই বলে।
কষ্ট বরফের মতো কঠিন, এই কঠিন পদার্থ গলেই অশ্রু সৃষ্টি হয়।
অবশ্য সবাই কাঁদতে পারে না, কেউ কেউ কান্না গিলে খায়।
কষ্টে হাসার মতো মানুষের সংখ্যা ও নেহায়েত কম নয়।
ঠোঁটে হাসি রেখেও,অশ্রুতে টলমল করা চোখের মুখখানা,
এই পৃথিবীর অন্যতম মায়াবী মুখ।
এই মায়াবী মানুষ গুলো বেঁচে থাক।
এদের অশ্রু নীল নয়, বরং হাসির মতোই মুক্তোতে ঝড়ুক।
বরফ গলা নদী শান্ত হয়ে যাক, প্রার্থনা শুধুই এ টুকুই।
রচনাকালঃ ২৯--০৫--২০১৭ইং
ক্রমিক নংঃ ২৬০।