নেই অধিকার
        ক্রমিক-নংঃ ২৫৪
     _____ শাহাদাত সোহেল নীল.(কাকতাড়ুয়া)


ভাবছি যখন হয়ে যাব স্বাভাবিক
ভুলে সকল ব্যর্থতার ঠিক-বেঠিক।
করছিলাম হিসেবের নথিপত্রে বিচরণ
ঠিক তখন, রাখালের বাঁশির সুরে বেজে উঠল মুঠোফোন।
রইলাম এক দৃষ্টিতে খানিক চেয়ে,
অতঃপর; সকল দ্ধিধা-দ্বন্দ্ব ভুলে।
সবুজ নিয়নে আলতো চাপতে, ওপাশ হতে ভেসে এলো
আহ্-হা তোমারি সেই সুর, লাগছিল ভীষণ মধুর।
হৃদয়ের স্পন্দন ভেড়ে হয়েছে দ্বিগুণ
না জানি, কতদিন পরে শুনিলাম সেই চিরচেনা সুর।
কথোপকথনে বুঝিলাম,
তুমি এসেছো অতিথি হয়ে আমার শহরে।
পড়েছো খানিক মুশকিলে, করিলাম অনুরোধ বিনয়ের সাথে
দয়া করে চলে আসো আমার ঘরে, রাখব তোমায় মাথায় করে
জবাবে বললে, চাইনা এসব শুনতে একেবারে!
বলিলাম, চলো তবে। দেখা করো একবার আমার সাথে
বললে এবার রেগে, সেইদিনগুলো হারিয়ে গেছে সোনালী শৈশবে সে অনেক দিন আগে।
পুরাতন স্মৃতিকে করে বিচরণ, কী লাভ বলো এখন?
অধিকারটাই নেই যখন! হ্যাঁ, অধিকার!
সত্যি তো নেই। আজ আর কোন অধিকার
আমরা কেউ নই, কারো হৃদয়ের জামিনদার।
ইচ্ছে করলেও ফেরার সুযোগ নেই আর
যদি থাকতো, তবে দু'জনে দু'জনকে দিতাম জীবনটা উপহার।।


রচনাকালঃ ১০-১০-২০১৭ইং