ঘুমন্ত মেয়ের গায়ে বাবার হাত
দুঃস্বপ্ন নয়, বাস্তব এই রাত।
রক্তে রাঙা কিশোরী দেহ,
চিৎকার চাপা, কষ্ট গেহ।

মা নেই, সংসার শূন্য,
তবু কি তাই এত নিঃশঙ্ক?
নতুন কারো সঙ্গে গড়তে পারতে ঘর,
কেন করলে মেয়ের সঙ্গেই অবিচার?

বাবা, তুই বাবা নস,
তুই একটা নোংরা লালসার বস।
যার চোখে সন্তান শুধু মাংসপিণ্ড,
সে কি আদৌ মানুষ—না কি পশুরও নিচে দাঁড়ায় স্পষ্ট?

শেষরাতে মেয়ে হাতে নিলে ছুরি,
শুধু একবার বলল—"আর না, এবার ওড়ি।"
একটি কোপ, দুটি, তিনটি...
অন্যায়ের প্রতিশোধ যে এমনি কঠিনই।

এই সমাজ কি শুনবে এই মেয়ের কান্না?
না কি বলবে—"খুন করেছে, শাস্তি দাও!"
তারা জানে না, সে খুন নয়, প্রতিরোধ,
একটা জাতির বিবেকের রক্তাক্ত প্রতিবোধ।

যারা করে পর্নে নারীকে শুধু ভোগ্য,
তাদের কাছে ‘মেয়ে’ মানেই শরীরের যোগ্য।
তারা দেখে না সম্পর্ক, দেখে না কষ্ট,
তাদের চোখে ভালোবাসা এক তামাশার রস।

তাই বলি, উঠো মেয়ে, আগুন হও,
তোর হাতেই হোক এ সমাজের শেষ লেখচিত্র,
যেখানে বাবা মানে নিরাপদ আশ্রয়,
না যে রক্তাক্ত ঘুম আর আতঙ্কের নিঃশ্বাস।

২৬ বৈশাখ ১৪৩২