করোনাকালের এই দুঃসময়ে কৃষকের মাঠে ধান পেকেছে। ধান কাটার জন্য অন্যান্য জেলা থেকে মজুর আসেনি।কৃষকের রাতের ঘুম হারাম হয়ে গেছে দুঃচিন্তায়। সেই অসহায় কৃষককে ধান কাটতে সাহায্য করতে এগিয়ে এসেছেন বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র, শিক্ষক, ছাত্রলীগ নেতাকর্মী, সরকারী বেসরকারী বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের কর্মকর্তা কর্মচারী।তাদের অধিকাংশ জীবনে কোনদিনও কাস্তে হাতে নেয়নি। হতে পারে এটা তাদের কাছে অন্যরকম আনন্দের ক্ষণ এবং দু-একটা সেলফিও হতে পারে ফেসবুকের পাতায় একান্ত বন্ধুদের উদ্বুদ্ধ করার তাগিদে। কিন্তু কিছু প্রবুদ্ধ কবি ও ছড়াকার সেই সব ছবি ক্যাপশন করে মজার মজার ব্যঙ্গাত্ব এবং অশালীন  কবিতা ও ছড়া লিখে ফেসবুকে দিয়ে হাজার হাজার লাইক কমেন্ট কুড়োচ্ছেন। সম্মানের সাথে তাঁদের বলছি- বিষয়টা উল্টো করে দেখুন... এবং লেখুন আমার মনে হয় একেবারে কম কমেন্ট আর লাইক পাবেন না! সেই সব কবি ও ছড়াকারদের জন্য আমার আকজের এই সামান্য ছড়াটি। আর সেই সাথে তাদের অনুরোধ করছি- নিজেকে প্রস্তুত করুন মাত্র এক দিনের জন্য একজন অসহায় কৃষকের ধান কেটে দেয়ার মতো মহৎ উদ্দেশ্যে দেখি পারেন কি না!


বাঁকাচোখে
              -শ.ম. শহীদ


বাঁকা চোখে বাঁকাই দেখি-
সোজা দেখি কই!
সোজা হলে ফুটতো কথার
অন্য রকম খই।


হতাশ কৃষক! চিন্তা লয়ে-
ধান পেকেছে মাঠে
করোনাকাল পায় না মজুর
কি ভাবে ধান কাটে!


ছাত্র সমেত শিক্ষক এলেন-
কেটে দিলেন ধান,
বাঁকা চোখে  সেলফি দেখি
এইতো প্রাণের টান!


উদ্বুদ্ধের নেই তো বালাই
দেশটা ভালোবাসি!
ধান কাটতে আমরা কেনো?
মরুক শালার চাষী!