প্রথম অংশ


নিত্য দিন ই পড়তে বসে
ভুত হতে চায় ভুতু!
হাওয়ায় মিশে স্যারের গায়ে
দিবে ই কাতুকুতু!
স্যার নাকি তার ভীষণ কড়া
ভীষণ ই বদরাগি!
ভাগ অঙ্কটা বোঝে না ভুতু
তবু দিবেন ভাগ ই!


‘চারটা কলা কুড়ি টাকায়
একটার দাম কত?’
হিসেব কষে পায় না ভুতু
হচ্ছে সময় গত!


চক্ষু রাঙান স্যার-
এই বুঝি সে কানটা মলে,
এই বুঝি দেন মার!
ভয়ে ভুতুর হাত-পা কাঁপে
নড়ে না মগজ তার!!
                       ০১.১০.২০২২
----------------------
দ্বিতীয় অংশ


‘ইচ্ছেপূরণ’ রাজা হঠাত-
দরজায় এসে হাজির,
সংগে তাহার পাইক-পেয়াদা
এবং উজির-নাজির!


“এই নে দিলাম বর!
এখন থেকে তুই হলি ভুত
যা ইচ্ছে তাই কর!
স্যারকে চেপে ধর!
এমন- দিবি কাতুকুতু
হেসে না পায় কুল!
বুঝুক নিজের ভুল!
যোগ,বিয়োগ,গুন তো আছে!
ভাগটা- কেন মূল?”


বর পেয়ে ঠিক হাওয়ার সাথে
মিশলো তখন ভুতু-
এগিয়ে গিয়েই স্যারের পেটে
লাগালো এক গুঁতো!
গুঁতো খেয়ে ই স্যার-
ওঠেন হেসে,  এদিক ওদিক
নাড়িয়ে দেখেন ঘাড়-
কেউ পাশে নেই তাঁর!


ইচ্ছেপূরণ রাজার বরে-
অদৃশ্যমান ভুতু
দিচ্ছে কাতুকুতু
স্যার মাটিতে গড়িয়ে পড়ে
হা হা, হি হি হাসে
অশ্রু চোখে আসে
কেমন মজা? ভুতু তখন
মহানন্দে ভাসে!!
                       ১৮.১০.২০২২
----------------------
তৃতীয় অংশ


ঘরের মাঝে- গড়াগড়ি
খাচ্ছে যখন স্যার
বললো ভুতু-‘‘দেবেন আমায়
ভাগ অঙ্কটা আর?
বুঝুন এখন ঠ্যালা-
বন্ধ আমি করবোনা এই-
কাতুকুতুর খেলা!”


এমন সময় ‘ইচ্ছেপূরণ’
আবার এলেন ফিরে-
“হাসিয়ে শুধু স্যারটাকে তুই
মারবি নাকি? কিরে?
ক্ষমতা নিলাম কেড়ে!”
হঠাৎ ভুতুর ঘুম ভেঙ্গে যায়
স্বপ্ন ছিলো? এ-রে!!
                        ১৮.১০.২০২২