বিনতি,
সেই যে গাঁয়ে,
দখিন বায়ে,
চুল উড়ায়ে ছুটতি!
জলের ধারে,
পুকুর পাড়ে,
তেঁতুলগাছে উঠতি!
তাড়াতাড়ি
মায়ের শাড়ী
বন-ভোজনে পিনতি!
মনে আছে?
তালের গাছে
বাবুই বাসা বাঁধতো!
হয়নি ডানা,
ওদের ছানা
চিঁ চিঁ করে কাঁদতো!
সেটা শুনে-
পয়সা গুনে,
কাউনে' চা’ল কিনতি।
নিজের হাতে
উঠোনটাতে
ছড়িয়ে দিতি চুপটি!
একটু পরে-
ফুরুৎ করে-
মা পাখিটা খুবটি-
খুঁটে খুঁটে
তোলতো ঠোঁটে
তুইতো তারে চিনতি!
বিনতি,
মনে পড়ে?
একদা ঝড়ে
উড়লো ঘড়ের চাল যে!
রাত্রি দুপুর,
রাস্তার উপর
পড়লো গাছের ডাল যে!
মাথায় পাড়া
কেঁদে সাড়া
তোর ছোটবোন রিনতি।
খেলায় যাবি,
মেলায় যাবি,
বলতিস আমায় “চল্ না!”
কই হারালি?
কই তাড়ালি?
সে দিনগুলি বল্ না!
চিঠির খামে
নকল নামে
লিখতিস আমায় “সিনথি”!