মালিকের তরে জীবন ভরে
শ্রমিকের শ্রম ধর্ম!
পেশী নড় বড় ঘাম দর দর
উদয়-অস্ত কর্ম!


খাদ্য জোটেনা, আলো ফোটেনা
আঁধারেতে বসবাস,
আসে কই ভোর! বুকের ভিতর-
চাপা পড়ে দীর্ঘশ্বাস!


দীর্ঘ-দীর্ঘ শ্বাসে, বারোটি মাসে-
ভারি হয়ে ওঠে বক্ষ,
আর কতো কাল রইবো বেহাল
চাই মুক্তির লক্ষ্য!


শ্রমিক-মালিক, শকুন-শালিক
সম্পর্কের দ্বন্দ্ব!
শিকাগো থেকে টোকিও অব্দি-
সহসা পৌঁছে গন্ধ!


গন্ধের তোড়ে নিশান ওড়ে-
পড়ে ঐক্যের ডাক;
শ্রমিকের হাত ঘোচাবেই রাত
শোষক নিপাত যাক!


উর্ধ্ব শ্বাসে পথে নেমে আসে
লক্ষ শ্রমিক তন্ত্র;
চাই অধিকার, শুনবোনা আর
মালিকের কোন মন্ত্র!


সহজে কি পায়, যে যাই চায়,
পথ যদি হয় শক্ত?
বন্ধুর পথে- মসৃণ হতে-
ঢেলে দিতে হয় রক্ত!


রক্তের দামে, নোনা জলে-ঘামে-
শ্রম রূপ নেয় আইনে;
আট ঘন্টার অধিক শ্রমের-
আলাদা জুটবে মাইনে!


মে দিবস মানে সকলেই জানে
সেই দূর্জয় উক্তি-
মালিক ও শ্রমিক হয়েছিলো ঠিক
দেনা-পাওনার চুক্তি!!


রচনা : ০১/০৫/২০১৫ইং, শুক্রবার, লালমনিরহাট।