বাদুল্যা দেওয়ানীর ব্যাটা,
চেংড়াকোনা বড়ই ঠ্যাটা,
উয়ার কতা-
কি কংরে তোক্ মাও!


মোকে নাকি বিয়াও করে,
কাইলে নাকি ঘটক ধরে,
ওইগলা কয়া-
বোলাইচে মোর গাও!


এলা ক্যানবা এদোন নাগে
উয়ার কতাই মনৎ জাগে
বাউদিয়াটাক-
ভুইলবারে না পাঙ্ক!
কেমন করি পড়ং পড়া
যাদু কচ্চে ঘাটের মরা
ইচ্ছা করে-
উয়ার বগলাৎ যাঙ্ক!


ওরে মা...
ঘটক যদি আইসে বাড়ি
পাকা কতা নিমেন সারি
তুলি দিমেন-
কোনদিন মোক তাও!!


পত্যিদিন ইশকুলৎ যাঙ্ক
উয়ার দেকা ঘাটাৎ পাঙ্ক
আইজ আবার-
কি করিল্ মা শোন্-


আউটালৎ ডাকেয়া নিয়া,
গালোৎ একটা চুমা দিয়া,
হাতোৎ ধরে-
দিলো মোবাইল ফোন!


কইলেন-
“আবার যাননা ভুলি
নাম্বারটা দিচং তুলি,
সময় পাইলে-
করেন একনা আও!!”
ওমা...
ওইগলা কয়া-
বোলাইচে মোর গাও!!


_______________________
২৬ ফেব্রুয়ারী ২০১৬, লালমনিরহাট।


রংপুরের আঞ্চলিক যারা বোঝেন না বা কম বোঝেন তাদের জন্য সরল ব্যাখ্যা :


বাদল মাতবরের ছেলে। ছেলেটা বড়ই নাছোড়। ওর কথা কি বলবো তোমাকে মা! আমাকে নাকি সে বিয়ে করবে। কালকেই নাকি একজন ঘটক পাঠাবে। এসব বলে সে আমার গায়ে হাত দিয়েছে।


এখন আমার কেমন যেনো লাগে। ওর কথা মনে পড়ে। অকর্মাটাকে ভুলতে পারছি না। কেমন করে লেখাপড়া করবো? সে (ঘাটের মরা) আমাকে যাদু করেছে। এখন শুধু ইচ্ছে করে তার কাছে চলে যাই।


ঘটক যদি বাড়িতে আসে সব কথা পাকাপাকি করে নিবে। কবে আমাকে বিয়ে ও বিদায় দিবে সেটাও।


প্রতিদিন স্কুলে যেতে পথে ওর সাথে দেখা হয়। আজ আবার কি হয়েছে মা শোন- আমাকে আড়ালে ডেকে নিয়ে, আমার গালে একটি চুমো দিয়ে হাতে একটা মোবাইল সেট দিয়েছে। বলেছে-“ আমাকে ভুলে যেওনা, মোবাইলে একটা নম্বর সেভ করে দিয়েছি। সময়-সুযোগ পেলে ফোন করে কথা বলবে”।


ওমা! এসব বলে সে আমার গায়ে হাত দিয়েছে।