পরী রানীর পিঠের উপর বসলো টুসী চড়ে-
কী চমৎকার! চললো পরী হাওয়াতে ভর করে!


মেঘের পরে মেঘের বাড়ি, তারার প্রদীপ জ্বলে
বিনি সুতোয় বাঁধা যে সব কৌশলে-কৌশলে!
তাদের উপর রামধনু রঙ খাচ্ছে লুটোপুটি
তাইনা দেখে চাঁদের বুড়ি হেসেই কুটি-কুটি!


ক্ষানিক পরে থামলো তারা একটি ফুলের বনে-
টুসীর যেনো খুশীর জোয়ার বইছে তখন মনে!
পরীর রানী বললো “আমার ফুলকলিরা ফোটো!
পাখ-পাখালী প্রজাপতি তোমরা জেগে ওঠো!”


যুঁই,চামেলী,শিউলী,বকুল মেললো সবাই আঁখি!
দোয়েল,শ্যামা,ময়না,টিয়ে উঠলো সবাই ডাকি!
রঙিন ডানা মেলে উড়ে এলো প্রজাপতি!
মুগ্ধ হয়ে বললো টুসী : বাহ্ , চমৎকার অতি!


ফুল পাখী আর প্রজাপতি উঠলো গেয়ে গান!
গানে গানে প্রশ্ন করে- “কে গো মেহমান?”
পরী রানী বললো- “শুনে তোমরা হবে খুশী-
ও আমাদের বন্ধু সবার, নামখানা ওর টুসী!
টুসী মনি এদের সাথেই খেলতে থাকো তুমি,
আসবো আমি পাশেরবনে ভাঙিয়ে ফুলের ঘুম-ই!”


বনের মাঝে মনের যতো আনন্দ সব ঢেলে-
চলে গেলো পরীর রানী রঙিন ডানা মেলে!


                       (চলবে)