খবরটা নয় যাতা-
ভূবনডাঙ্গার ভবেন বাবুর-
বিগড়ে গেছে মাথা!
আবোল তাবোল কী সব লিখে
ভরছে নাকি খাতা!


খবর পেয়ে অমনি ছুটি
ভবেন বাবুর বাড়ি,
গিয়ে দেখি বাবুর  মুখে-
লম্বা লম্বা দাড়ি!
ঘর ভর্তি খাতা-কলম  
রাখা সারি সারি!


আমায় পেয়ে ভবেন বাবু
আল্লাদে আটখানা,
বললেন-“তুই আসবি সেটা-
আমার ছিল জানা!
এই দ্যাখ এসব লিখছি আমি
তিন মাসে একটানা!”


“কেউ না জানুক আমি জানি
আপনি অনেক গুণী!
কি লিখেছেন এতো এতো
বলুন কিছু শুনি!”
“দু-এক পাতা উল্টিয়ে দ্যাখ”
হেসে বলেন উনি!


প্রথম খাতার উপর লেখা -
ভবেন্দ্র সংগীত!
“ছিয়াশিটা গান লিখেছি-
ত্যাগে রাতের নীদ!
সংগীতের অঙ্গনে এসব
আনবে ডেকে হিত!”


দুই নাম্বার খাতায় লেখা-
গল্প/উপন্যাস,
প্রথম গল্প- মৃতুঞ্জয়
এবং কৃতদাস!
হবু রাজার রাজ্যে ছিল-
ফটিক ছেলের বাস....


পরের খাতা ‘কাব্য কথা’
ভবেন্দ্র নাথ ঠাকুর,
“প্রকাশকরা দেখবি কেমন
করছে যে ঘুর ঘুর,
নোবেল-টোবেল তখন কী আর
থাকবে বেশী দূর?”


মধুসুদন, সত্যেন্দ্রনাথ
জসিমুদ্দিন আর
আমার মতো ছন্দ কীরে
জানতো সুকুমার?
টেক্কা দিবো রবীন্দ্র কে
নজরুল তো ছাড়!