এক গাঁয়ে এক বুড়ো ছিলো
বুড়োর বয়স আশি।
কবে যেন যমের ডাকে
হবেন স্বর্গবাসী!
হঠাৎ মনে শখ চেপেছে
করবে বুড়ো বিয়ে
পাশের গাঁয়ে মেয়ে একটা
দেখেন বাপে-ঝিয়ে!


গরীব ঘরের মেয়েটি, তার
নাম হলো ফুলমতি
ফুলে ফুলে নাচে যেমন
রূপের প্রজাপতি!
আনন্দ উৎসবে মাতে
পাড়ার ছেলে-মেয়ে
হই হুল্লোর করছে সবে
এমনই বর পেয়ে!
বরের টাকায় খাওয়া-দাওয়া
নাচ ও গানের সাথে-
বিয়ে বাড়ির কাজকর্ম সব
করছে হাতে হাতে!
টোপড় মাথায়, ধুতি পড়া-
বুড়ো বরের ঠোঁটে
ক্ষণে ক্ষণে খুশির ঝিলিক
চমক দিয়ে ওঠে!


তন্ত্র-মন্ত্র নিয়ম-কানুন
সকল কিছু শেষে,
ঘোমটা দিয়ে বরের পাশে
দাঁড়ায় কনে এসে।
তারপরে সে বুড়ো স্বামীর
হাতটা চেপে ধরে-
বলে-‘তোমায় এতো দিনে-
পেলাম আপন করে!’
হঠাৎ বড়ো চমকে ওঠে
কনের কন্ঠ স্বরে-
মনে ভীষণ খটকা লাগে
কে এলো তার ঘরে!
তড়িৎ বেগে মুখটা দেখেন
ঘোমটাখানা ফেলে
কার সাথে তার বিয়ে হলো
এ যে একটা ছেলে!