"বুলবুল"
তুমি "রিক্তের বেদন" বুঝবে না।
আমার "বাঁধন হারা" মনে "মরু ভাস্কর"এর "প্রলয় শিখা" সম যে মরু "ঝড়" তার সর্বগ্রাসী "মৃত্যুক্ষুধা"য় "সন্ধ্যা" আকাশের "ধুমকেতু"র মত অদৃশ্য হয়ে যাচ্ছি তোমার মানস পট থেকে।
যে "সন্ধ্যা" তারার "ঝিলিমিলি" হাত ছানিতে "আলেয়া"র পিছু নিয়েছিলাম- আজ জানলাম তা "কুহেলিকা"।


হে "চোখের চাতক"
-তোমার হৃদয় মালঞ্চের "গুল বাগিচা"র "দোলন চাঁপা"য় বসে শুনতে পাব কি "গীতি পুস্তক" বা "গীতি শতদল"এর "বনগীতির" নির্ঝর ?


হে "সুর সাকী"
- সে "গানের মালা" "বিষের বাঁশি" "ফনিমনষা"র কাটা বা "জুলফিকার" হয়ে আঘাত হানবে আমার হৃদয় কন্দরে।


জানি,
-"সর্বহারা" এ "দুর্দিনের যাত্রী' কে "জিঞ্জির" আবদ্ধ করতে দু বাহু বাড়িয়ে "শিউলী মালা" নিয়ে কেউ বরণ করতে আসবে না।
তোমাকে নিয়ে "চিত্তনামা"য় যে "নতুন চাঁদ' এর স্বপ্ন এঁকেছিলাম দূরান্ত "পূবের হাওয়া"য় "পুতুলের বিয়ে" সম ভেঙ্গে গেছে সে "সঞ্চয়ন"।


--মনে পড়ে "সাতভাই চম্পা" দেখতে গিয়েছিলাম "ধূপছায়া"য় । "ছায়ানট" এ "সাপুড়ে" চলছিল, আমি "রাজবন্দীর জবানবন্দী" আর একটা"লাঙল" পত্রিকা কিনতে চাইলাম,-তুমি বললে -ওহে "বিদ্যাপতি" "নবযুগ" এর কৃষক হবে না কি?
-আমি বললাম, জানই তো আমার একটা "সাম্যবাদী" মন আছে।


--জানি না কোন "ভাঙ্গার গান"এ সব কিছু এলো মেলো হয়ে গেল।
এখন স্মৃতি চারণ করি আর মাঝে মাঝে তোমার দেওয়া "যুগবাণী'র যুগশ্রষ্টা "অগ্নীবীণা"র কবি নজরুলের "ঝিঙেফুল" আর "চক্রবাক" পড়ি।


তোমাকে লিখতে বসে হৃদয় "সিন্ধু হিন্দোল"(ইত) হয়ে 'সঞ্চিত"(আ) ভাষা হারিয়ে যাচ্ছে হৃদয়ের অতল তলে।
এ "ব্যথার দান" টুকু সাদরে গ্রহণ করবে এ প্রতাশায় ইতি টানছি।
যদি কাব্যে "আমপারা" আর "রুবাইয়াত-ই-ওমর খৈয়ম"বই দুটি পাঠিয়ে দাও তবে সেই হবে আমার "শেষ সওগাত"।
ইতি
বর্ণহীন
"চন্দ্রবিন্দু"