(“কবিতা নয় কৈফিয়ত”,লিখে কিছুটা ভার মুক্ত হয়েছি। আজো যেন কার সঙ্গে মিলে গেল,তবুও ধারণ যখন করেছি ডেলিভারি দিলাম)।


সময়ের স্বল্পতা
আর ব্যাক বোন
দেয় না পারমিশন
কাবিতা অবগাহন
তাই নেটে, কাটে না সময় বেশিক্ষণ।


টাইপের গতি?
অতি নগন্য
কতটুকু জান?
মিনিটে ১০/১৫টা যেন
কাব্য সবাকার, পাঠ না করার কারণ,-এ হেন।


তার পরেও
অতি কষ্ট করি
যতটুকু পারি, পড়ি
নিজেও কিছু গড়ি
উদ্দেশ্য, নিবেদন, বিবরণ, দিব তারই।


সুশীল রায়,
বলবো তার কথা?
উপদেশ দেন যথা,
আমি অজ্ঞ, যোগ্য নই যথা,
সুশীল দা-ই সুশীল দা, সার কথা।


তরুন তুর্কী,
মিমি, অহনা
ছোট্ট কথার গহনা
রচে কিন্তু মন্দ না,
পড়ি, স্মরি, গাই তাদের বন্দনা।


স্বপ্নবাজ দাদা
মূল্যবান রচনা,
মনে হয়, চিরচেনা,
একই হাটে বেচা কেনা
মাঝে, মাঝে মিলে যায়, ভাব ও ভাবনা।


সুকন্যা ঝা,
সৌখিন কবিতা পাঠক,
বেশি মারেন ঠোক,
করেন উপভোগ
তার মধ্যে, মাঝে মধ্যে করি সম্ভোগ।


মহারাজ ভাই-,
পৌষের কোকিল মন,
মোজাম্মেল হক যে জন
কেড়ে নেন মন
আগাম, ছদ্দনাম, করেছেন বর্জন।


সুদীপ তন্তুবায়,
নীলে নীলে নীলাকার,(বিষ নয়)
লেখেন অতি চমৎকার
এ কথায় অমতকার,
মানি এবং জানি একমত সবাকার।


ইব্রাহিম মোহাম্মদ,
খান, সাইদুর রহমান
গতি তাঁর বহমান
লেখেন অতি উচ্চমান,
তাঁর তরে, অন্তরে রাখি সম্মান।


মুনির সরকার,
দাদা অরুন কারফা,
সুবীর কাস্মীর পেরোরা
লেখায় তাদেঁর উচ্চতা,
সুমহান,সম্মান করি তাঁদের সর্বদা।


সাগর কাজী,
লেখেন বিদ্রোহ কথা,
অগ্নিঝরা বক্তৃতা
লুফে নিই তা
হৃদয় মাঝে বাজে, সর্বক্ষণ,তার কবিতা।


জাহিদুল ইসলাম,
আরো আরো যারা,
বিপু আর বাদ পড়ারা,
কম বেশি হয় পড়া,
তারাও ভালো, আলো ছড়ান কবিতার এই পাড়া।


[এই কবিতার জন্ম কথা]


সাপ্তাহিক ছুটি, তবুও করতে হলো ডিউটি।বাড়ি ফিরে লিখতে বসলাম “কবিতা নয় কৈফিয়ত”। গিন্নীর তলব, ডাক, চিৎকার, সব বরবাদ।ইতোমধ্যে গুলিয়ে ফেলেছি স্বপ্নবাজ” আর “মহারাজ’’।(সেও এক ইতিহাস) খাটলাম রাধিকার ফরমাশ।তারপর নেটে, কেটে গেলো কিছুটা সময়। অতপর, শয়নে পদ্মনাভঞ্চে।ঘুম নাহি আসছে। বসা বড় দায়, ব্যাক বোনে দিচ্ছে না সায়।নেই উপায়, তাই শুয়ে শুয়ে খুঁজছি,প্লট, ভাব ও ভাবনা।মাথায় কিছু আসে না।আবারো ভাবচুরি, করলাম না লুকোচুরি।দায় স্বীকার যোগ্য ক্ষমার।]
ঘুমের অভাব,নির্ঘুম রাত।লেখায় দিলাম হাত। আবার হবে সাক্ষাৎ। ধন্যবাদ।।