প্রনয়ের বাসনায় প্রেমময় যুগলের নিষপলক চোখা চোখী,
বনে বনে পাখিদের পরান জুড়ানো কিঁচিরমিঁচির ডাকাডাকী।
বৃক্ষের সব শাখারা রুপের মাধুর্য ছড়াবে নব সবুজের বাসরে,
ফুলের পাঁপড়িতে মধু করে কালি চিত্রকর সেজে চিঠি লেখবে ভ্রমরে।
ফুলে ফুলে ছড়াবে সৌরভ  বিরামহীন সকাল বিকালে,
প্রকৃতিকে রাখিবে ডুবাইয়া ঝিঁঝিঁ পোকার সুরময় মায়াজালে।
কৃষকের বুকের পশমে ফসলের মাঠে উদাসী বাতাস করিবে মায়ার খেলা,
রাখালের বাঁশি রাধা রাধা বলে বিরহের সুরে ফুরাবে সারাটি বেলা।
দক্ষিনা বাতাসে নবগঙ্গার জলে ঝিনিক ছলাৎ ছলেতে,
ডুঁব সাঁতার খেলিবে উল্লাসে মেতে কিশোরীর দলেতে।
শঁশী তার বধূ সাঁজ সেজে নবগঙ্গার জ্বলে দেখিবে রুপ,
দিনের আলো ভেবে বালুচরে একটি ঘুঘু হাঁটিবে নিশ্চুপ।
কোন উদাস কবি হাটিবে বেখেয়ালে দিনরাত্রী ভূলে
কোকিলের গান শুনে বসিবে খনিক বিশ্রামেরই ছলে,
হৃদয় গাথিবে ছন্দ নয়ন তার সবুজ আর ফুলে ফুলে
অথবা প্রিয়ার বিরহে ভাসিবে একেলা নিরব নয়নো জলে!
আজ এই ক্ষন হৃদয়উল্লাসের থাকনা বিরহ বেদন অনন্ত,
দেখনা? প্রকৃতির সব তাল লয় ধরে গাইছে গান শুভ নববসন্ত!