উড়ন্ত ফিঙ্গের দুরন্তপনার মধ্যে যে সুখ
সে সুখ একদিন আমারও ছিল।
আমি বেলা অবেলায় অফুরান সুখের উল্লাসে
হেঁটেছি কত; তার সপ্নগুলো হাতের মুঠোয় নিয়ে,
তার হাসি মাখা মুখখানি দেখে দেখে আমি
সুখের স্বর্গরাজ্যের রাজার মত পার করেছি অনন্ত যৌবন।
দুঃখরা দলে দলে এসেছে কত আমাকে দখলে নিতে
পারে নি! লজ্জায় অবনত হয়ে ফিরে ফিরে গেছে
আমার সুখের ফাল্গুনী লাল বসন্ত শিখায়।
একেবারে ছেলেবেলায় বনবাদারে অহেতুক চলাফেরা
উড়ন্ত ঘুড়ির মত দুরন্ত ছিল যে মন,
তার আর ইতি টানার প্রয়োজন হয়নি
এক জোড়া মায়াময়ী চোখ বলেছিল,
নীলাভরত্ন, কোহিনুর আর যাই ভাবো
এ সম্পদ তোমার; আমি চিরদিন তোমার।
প্রতিদিন যেন অনন্তদিন-অনন্ত সুখের সাগরে ভেসেছি
তার নীল ওরনার তলে কোমল মঞ্জিলে মাথা রেখেছি,
প্রতিটি অনুভুতি কনা যেন পৃথিবীর সব সুখের যোগফল।
তার রূপের কাজল মায়া আবৃত করে রেখেছে,
বেলা অবেলায় আলো আধারির এই পৃথিবীতে।
কত শত রাত কত শত দিন পেরিয়ে গেছে,
তার ভালবাসার পদ্ম সরোবরে প্রেম লুটে লুটে।
সে আজ নেই কি এক ভুলে-ভুল বুঝে চলে গেছে দুরে,
জানিনা কোথায় বাসা বেঁধেছে কার বুকের কোটরে!
উদ্ভ্রান্তের মত খুজে ফিরছি বদ্বিপ, ভারত সাগরের কুলে কুলে
গভির অরন্য কিংবা জনপদ, রাজপথ, পৃথিবীর পথে পথে।