বৃষ্টি না কি সে
   সুদীপ সিনহা
সেদিন রাতে হটাৎ বৃষ্টি এলো,
হটাৎ বৃষ্টি,অনেক দিন পর।
ঝরঝর ,ঝরঝর,গুমরি গুমরি মেঘ,
নৃত্যে ,গীতে,আনন্দে,না, দুঃখ -বেদনায় কেঁদে চলেছে,
সারা আকাশ জুড়ে।
যেন কান্না,নিশুতি রাতে,
কোন এক একাকিনী,
কোন এক গোপন প্রাসাদ পরে।


কাল সারাদিন ছিল ভীষন গুমোট,
অসহ্য গরমে,ঘেমে নেয়ে,
খুঁজেছি বৃষ্টিকে,দেখা পাইনি।
সারা আকাশ জুড়ে,
গনগনে আগুনের তাপ,
জ্বালিয়ে পুড়িয়ে খাক করে দিয়েছে,
আমাকে,ছটফট করেছি।
বৃষ্টি কোথায়,বৃষ্টি কোথায়-
সেই বৃষ্টি আজ নিশুতি রাতে,কেন একা কাঁদে।
যেন ,আমার সেই পুরোনো বেদনখানি।
প্রেমের স্বরূপ যেন,
বিচ্ছেদের রাতে।


কোন সে দুঃখের যেন,
মরম বেদনাতে,গুমরি গুমরি ওঠে বৃষ্টি,বুঝি প্রেমিকা হয়ে।
চঞ্চল হয়ে উঠি আমি।
কেমন যেন শীতল শিহরন,বুকের ভিতর অনুভবি।
বুকে ভেসে আসে,ভুলে যাওয়া,কার মুখ ছবি।


জানলা দিয়ে হু হু করে ঢুকছে,ঝোড়ো বাতাস।
গলাটা শুকিয়ে আসছে।
একটু জল খাবো।
বৃষ্টির জল!
না না ও তো কান্নার ,
ও জল ,আমি খাবো না।
ও জল আমাকেও আমাকেও বুঝি কাঁদাবে তবে,
ফেলে আসা রাতের আদলে।


একটু কি ভিজবো,
এতো রাতে,
বিছানা ছেড়ে পায়ে পায়ে উঠি।
ধীরে ধীরে ,জানলা দিয়ে
বাড়িয়ে দিই হাত।


অজস্র বৃষ্টির ছাট,
ভিজিয়ে দিচ্ছে হাত।
আমায় ডাকছে এসো সখা,
এসো ,আমরা কাঁদি একসাথে ।


কেমন যেন মন্ত্রচালিতের মত,
দরজা খুলি,
উঠোনে এসে বৃষ্টি ভিজি।
ঝাপসা দৃষ্টি-বৃষ্টি ভিজি,
শান্ত করি বুকের ভেতর,
কান্না ভেজা শ্রান্ত ধ্বনী।
হারিয়ে ফেলা গোপন প্রেমের,
বুকের ভেতর সুরধনি।
নিমতউড়ি।।25/04/19