মাছি পুরান(পুরাতনী ছন্দে)
            সুদীপ সিনহা।
শোনো শোনো শোনো ভাই
শোনো দিয়া মন।
মাছিদের ইতি কথা
করিব বর্ণন।
মাথা হেঁড়ে পা মুড়ে
বসে এরা ভাই,
বসিবামাত্র পায়ে
মুখ মোছা চাই।
চারি পায়ে বসে
আর দুটি পায়ে হাত
পতঙ্গ শ্রেণী মধ্যে
নাহিকো তফাৎ।
কত বর্ণ কত রঙ
মাছি মধ্যে পাবে,
তোমার সকল খাদ্য,
উচ্ছিষ্টও খাবে।
ছোট মাছি ,বড়ো মাছি
মৌ মাছি , ডেয়ো
রক্তবর্ণা বিষ্ঠা মাছি
ডাঁশ মাছিও পেও।
গাত্র বর্ণ, গোত্র যত,
রুচিরও প্রকার।
কেহ মিষ্ট ,কেহ দুস্ট,
কেহ ক্ষুরধার।
কেহ খোঁজে ,পুষ্প রাশি
কেউ পরিপক্ক বাসি,
কেহ আসে, হাসি হাসি,
রক্ত খেতে উপবাসী।
কেহ বাঁধে বাসা তার
কদম্বেরও ডালে,
কেহ আদ্র, বিষ্ঠা পরে
কেহ ,নস্ট জলে।
কেহ রাখে মধু ভরি
কেহ শুধু নষ্ট করি
কেহ থাকে হাঁকে পাকে
উপবাসে রুষ্ট হরি।
এইমতে মাছিকুলে
রুচি নানাবিধ,
প্রয়োজন অনুযায়ী
হরেক নামিত।
নামমতো মাছি মধ্যে
সচেতন ভারী
কোনজনা উপকারী
কেবা অপকারী।
কোন জনায় আছে হুল
কেবা মুখে কাটে,
অচেতনে অবহেলে
পড়িবে সংকটে।
তাই সবে অপকারী
মাছিকুল হতে,
দূরে রহিবার প্রথা
করো কোনো মতে।
মধুমক্ষি মৌমাছি।
পরম আত্মীয়,
উহাদের মধু লাগি
পালন বিধেয়।
তাই বলি মধু মাছি
সবে করো চাষ।
ইহাতে হইবে ভূমে
মধুর আবাস।
মধু কথা মধু গন্ধ
মধু বর্ণময়,
মধুক্ষরা হবে মাগো
তোমারো তনয়।
জন্ম লগ্নে মধুমাত্র
অধরেতে রেখো,
মধুময়ী শিশুকন্যা,
পুত্রগো নিরীখো।
শাস্ত্রে বলে মধু হলো
অমৃত সমান,
কবোষ্ণ  উদপে মধু
প্রাতে করো পান।
সাথে দিও বিন্দু কয়
পাতি নিম্বু রস,
ব্যাধি সব হবে মুক্ত
মেদে হতো যশ।
বিন্দু মাত্র মধু দিও
তুলসীর পত্রে,
প্রভাতে সেবনে কফ
দুরিত অতন্দ্রে।
মৌমাছি আরো রাখে,
মৌচাকের ভাণ্ডে
মৌ -মোম  প্রজ্জলিত,
মধুকর কান্ডে।
এবেমাত্র মধুপের
বর্ণনা শুনিলে.
মক্ষি কূলে মধুকর ,
অনিলে  সুনিলে।
তাই প্রভু গুণীজন ,
শান্ত করি মন,
সবে মাত্র মধুকরে,
করগো রঞ্জন।
অমৃত এ মধুধারা,
ভবনে রাখিও
অপকারী মক্ষিদাদি,
ঢুকিতে না দিও
ইহামাত্র সাঙ্গ হলো,
মক্ষিকা পুরান
শ্রী সুদীপ সিনহা ভনে,
শুনে পুণ্যবান।