সূচের সুখ
সুদীপ সিনহা 25.07.17
সবে মাত্র বছর তিনেক বয়েস
তুলতুলে সেই হাতদুটোতে বালা
আধো আধো কথায় মাতিয়েছিলো
টলমল পায় নুপুর বাজিয়ে চলা.
ক্ষিদে পেলে কাঁদতো মেয়েটি ভারী
খেলনা পুতুল বায়না একটু ছিল .
বিষাক্ত কিছু রক্ত পিশাচ তারই
নরম গায়ে সুচ ফুটিয়ে দিলো .
দিকে দিকে আঁধার ঘনায় আজি
মমতা হীন অমানবিক মেলা.
বুঝল না সে কে যে আপন পর ,
পিতা মাতার নগ্ন কঠিন খেলা.
কষ্ট পেয়ে শিশুটা কাঁদতো খুব
বুকের ভেতর বাঁচার আশায় ডুব .
সূচের ঘায়ে ককিয়ে উঠলো শিশু
মেয়েবেলা তার হয়ে গেলো নিশ্চুপ .
যারা সাথী ওই নগ্ন খেলায় মেতে
নগ্নতাকে আড়াল করছে যারা ,
তারাও পুড়বে অগ্নি শিখায় তেতে ,
চরম শাস্তি পেয়ে হোক দিশাহারা .
শিক্ষা আরও অনেক চেতনা চাই
আলোর দিশায় জেগে ওঠবার কাল
হাতে হাত রেখে চেতনা জুগিয়ে যাই .
ভোরের আকাশ ভালোবেসে হোক লাল .
জন্মেছিল সে বছর তিনেক আগে
তাতেই দেখলো জীবনটা খুব বাঁকা ,
নরম মুঠিতে কতটা শক্তি লাগে ,
তাইতো শান্তি মরণের কোলে আঁকা .
রক্ত পিশাচ এদিক, ওদিকে, ভিড়ে
ভ্যাম্পায়াররা সমাজের বুকে বুকে
ওহে নরনারী সন্ধ্যা ঘনায় ধীরে .
কি করে বাঁচবে শিশু গুলো কোন সুখে .
এস ছুটে এস সত্যি মানুষ হলে
বুকের রক্তে নাহয় নাচাও সুর
রক্ত পিশাচ পুড়ে যাবে অবহেলে
শিশুরা বাঁচবে স্বর্গে ইন্দ্রপুর ,