প্রকৃতির অনন্য ঐশ্বরিক সৌন্দর্য হাওড় বেষ্টিত অঞ্চল,
অর্ধ বর্ষ জলে নিমগ্ন আর অর্ধ বর্ষ স্থল।
এই হাওর পাড়ের অদম্য মানুষ দুর্গত-জীবনের সঙ্গে লড়ে-লড়ে,
তিষ্ঠে আছে শতাব্দীর পর শতাব্দী যুগ-যুগান্ত ধরে।


এই জনপদে দাঁড়িয়ে আজ;-
আমার দু'চোখে নেমে এলো মধ্যযুগীয় অন্ধকার,
কুৎসিত বিশ্রী রাজার বিদঘুটে মুখ আর;
একটি ভয়ংকর প্রদেশের ভয়াবহ ছবি
বিদ্যুৎ-গ্যাসহীন অদীপ নিষ্প্রভ নিমজ্জিত সবি।
বেজে উঠলো মহাশঙ্খ!
নিমিষেই সম্মুখে এলো দুর্ধর্ষ বান মহাদুর্যোগ-প্রলয়
আমার চোখে ভেসে উঠলো অকরুন ধ্বংস দৃশ্যচয়।
ভেসে যাচ্ছে মানুষের সর্বস্ব ভিটা-মাটি অস্তিত্ব,
চাল-চুলা কিছু নাই আর সামান্যটুকু উদ্ধৃত।
অন্ন নাই! বস্ত্র নাই! আশ্রয় নাই!
অনাশ্রয় অসহায় মানুষের সর্বহারা ধূসর বদন;
বাঁচাও বাঁচাও আর্তরোলে বিলাপিত ক্রন্দন-
আর পশু পাখি বিপন্ন সকল প্রাণের অনুক্ত আরতি,
কোথাও কেউ নেই কে শুনে কার প্রাণের আকুতি!


সমগ্র প্রদেশ সলিল-শ্মশান!
আজ কোথাও আলোর মিছিল নাই ; তমঃ নিমগ্ন!
কোন আশ্রয় কেন্দ্র নাই, ত্রাণ বিতরণ নাই, রাজকোষ কি শূন্য?
কোন বাহিনী নাই! কে করে উদ্বাস্তুের উদ্ধার কার্য?
এমনিতে শুধু মহড়া পর মহড়া যত্তসব অকর্মণ্য -কদর্য-কার্য!
আমাকে আর শুনাবে না কোন মানবতার গান!
চিৎকার করে  উন্নত ভব্য রাষ্ট্রের  স্লোগান!
কিংবা প্রয়োগ করতে কোন অকেজো আধুনিক প্রযুক্তি!
আমি মধ্যযুগীয় ঘনঘোর অন্ধকার দৃষ্ট ব্যাক্তি।