এমনি এক শ্রাবণে বসে ছিলাম এক গ্রন্থাগারে,
গুরুগুরু গর্জে উদবেগ আকাশের বুক চিরে।
অবিশ্রান্ত ধারায় ঝরছিল মেঘ-স্রাব বর্ষণ,
আকাশ কুসুম ঝরা জলে অর্ধ সিক্ত বসন -
অঙ্গে, আমার সম্মুখে দাঁড়িয়ে ছিল এক বিদিশিনি -
নেপালি অনূঢ়া মেয়ে। তার রূপের সৌকুমার্য ঝলকানি,
এসে পড়লো আমার দুচোখে।
কাচা হলুদের মতো হলুদাভ অঙ্গবরণ! দিঘল-কুন্তল-বিনুনী
পিঙ্গল চোখের সেকি ভ্রু, সেকি পল্লব!ঐ তিল চিহ্ন তুথনি!
সীমন্ত ছোঁয়া চন্দন রেখা শুভ্রললাটে ,ঐ অপরূপ সুন্দর নাসিকা,
স্বর্ণ লতিকার মতো হেম কর্ণে দোলন্ত ঝুমকা।
উজ্জ্বল সুদর্শনা চক্রাকার মুখ! আমি সংবিৎশক্তি -
হারিয়ে, দেখেছি স্বয়ং গিরিকুমারী উমার প্রতিমূর্তি।


আজ এই বাদলে জলধর স্নিগ্ধ গগনে,
অবিরাম জলধারায় ঝরঝর বর্ষণে।
প্রতিটি ফোঁটায় ফোঁটায় ধ্বনিত হয় রিনিঝিনি
করে, তার শেখানো মৈথিলী ভাষার শব্দধ্বনি -
মোর কর্ণে।দেখি সেই মুখ ভাসে বিজলির চমকিত উদ্ভাসে,
আজ আমার মন উড়িয়ে নেয় দিশাহীন বাতাসে ;
প্রস্ফুটিত ফুলের প্রেম-গন্ধে মাতোয়ারা বাগানে,
সেই বিদেশিনির কাছে। এই শ্রাবণে শুধু তাকে পড়ে মনে।


তাং ০২-০৮-২০২২ খ্রীস্টাব্দ।


উৎসর্গঃ আমিসা বাসনেত, কাঠমান্ডু,নেপাল।