অদ্য হতে শত বৎসর পূর্বে-
যবে অবিভক্ত বাংলায় চরম অরাজকতা।
ব্রিটিশের উৎপীড়ন, দুঃশাসন যথেচ্ছাচার-
অবিন্যস্ত রাজনীতি দীপ্তিশূন্য অন্ধকার।
নিষ্প্রভ বাংলায় ভীতিপ্রদ গ্রাস -
বাঙালীর অস্থিত্বে ঐশ্বর্যে!
সেই ধোঁয়া ধূসর তমস্র কলুষের মাঝে-
বাংলায় আবির্ভূত হলে তুমি অকলুষ অমল
হে বাংলার পদ্মকর চির সমুজ্জ্বল!
আজি তব জন্ম শত বর্ষে-  
মোর হৃদ-ফুল্ল পুষ্পার্ঘ্য  করি অর্পণ,
নগন্য এই কবির নৈবেদ্য কর গ্রহণ!
হে বাংলার পদ্মকর হেমপ্রভা-
আঁধার ভেদিয়া ফুটালে তুমি মুক্তির-বিভা।
নবযুগের নব-রবি-দ্যুতিময়-অর্চিষ্মান
তব আগমনে অন্ধকার বন্দিনীর অবসান,
হে মর্দ-বীর!
শতাব্দীর শ্রেষ্ঠ পুরুষ হে মুক্তির তপস্বী,
মহা সংগ্রামের মহানায়ক বিপ্লবী রণ-ঋষি।
ওগো বাংলার মুকুন্দ!
এদেশের স্বাধীনতায় তব ত্যাগ-দান অপরিমিত
আমার কবিত্বে অসামৰ্থ্য মাপিতে এই অসীম হৃদ-প্রান্ত?
হে স্বাধীনতার প্রবাদ পুরুষ!
যবে বাঙালী বিশ্বলোকে অবিদিত -
তব দীপ্তি রশ্মিতে হলো বিশ্বের বুকে জ্ঞাত।
হে বিশ্ব যশস্বী রাজনীতিজ্ঞ!
বিশ্বরাজনীতিতে শাশ্বত কাল রবে স্মরণার্হে-
প্রজন্ম হতে প্রজন্ম গাহিবে তব গীত-গান,
হে অনির্বাণ দীপ্তাংশু বাংলার মহানেত মহীয়ান।
তব জন্ম শতবর্ষে ডারি শ্রদ্ধা ভরে পুষ্পার্ঘ্য কর গ্রহণ,
নগন্য এই কবির নিবেদন।


কাব্যগ্রন্থঃ বাংলার পদ্মকর