হে জগৎমাতা-ব্রাহ্মণ্ডজননী আদ্যাশক্তি -
রাজ-রাজেশ্বরী সকল নৃপতির নৃপতি ;
আজ সংসার কাঁদে মাগো, দানব-দৈত্যের ত্রাসে
হাসে পিশাচী হাসি গোটা ব্ৰহ্মাণ্ড গ্রাসে।
হে অরিষ্টনাশিনী, ত্রিলোকতারিনী ত্রিনেত্রা!
দৈত্যকুলে খেলে সৃষ্টির বুকে মহারক্তোৎসবে সৃষ্টি-নাশে,
ঋষি খুনের লোহিত স্রোত আজ গঙ্গায় ভাসে।
হায় ভগবতী! ওগো ভবানী ভবের দেবী,-
অসুরেরা চর্বন করে মনুষ্য নবজাতকের কাঁচা-নাভি।
মুছে নব বধুর সীমন্ত-সিঁদুর পতির রক্তে রাঙে পুনঃ
সিঁথি;
ওগো দৈত্যদর্প নিসুদিন, দানব-দলনী অগতির গতি-
এবার জাগো! জাগো হে ইন্দ্রাণী -রুদ্রাণী- ব্রহ্মাণী !
এসো মর্ত্যে বসুধা- বক্ষে, ওগো সর্ব দানব ঘাতিনী।
এসো ছিন্নমস্তা, চামুণ্ডা চণ্ডী, মহাবলা-মহাভীমা,
সর্বাস্ত্রধারিনী, এসো অস্ত্রভূষিত রণসাজে শ্যামা।
এসো কালজয়ী কাল করালিনী সর্বজয়া  -
অপরাজিতা-ক্ষেমঙ্করী-কান্তিকরী-মহামায়া।
হে সত্যসনাতনী  দেবী  তব চরণে অর্পন করি অর্চনা,
সংহার করো সর্বাসুর সাত শত কোটি মানবের প্রার্থনা।