হে মহাবীর! হে বাংলার গরীয়ান,
অসীম সাহসী শঙ্কাশূন্য নির্ভীক প্রাণ।
হে তারুণ্যের দীপ্যমান!
দেখেছি তোমায় তারুণ্যে শৌর্য-বীর্যের প্রতাপে,
জ্বলে উঠতে সূর্যের মত ঝাঁজালো তাপে।
দেখেছি তব যৌবনের মাহাত্ম্য -
ছয়দফায় নটরাজ বেশে রণ-নৃত্যে,
বাঙালীর স্বাধিকার-স্বায়ত্তে রক্তে রঞ্জিত রাজপথে।
হে অরিন্দম! দেখেছি তোমায়  অরির সম্মুখে ,
অশনি-কন্ঠে কেশরী নিনাদে দাঁড়াতে হেঁকে।
দেখেছি তোমায় হে চির অম্লান জ্যোতিষ্মান,
জন-উত্তাল তরঙ্গে কাঁপাতে রেসকোর্স ময়দান।
সহস্র বৎসরের বন্দিত বাঙালীর মুক্তির পণে-
দেখেছি! দেখেছি তোমায় কপটচারীর শঠতার জাল ছিঁড়ে,
তিমির রুদ্ধ কারার প্রাচীর ভেঙে আসিতে ফিরে।
দেখেছি তোমায় বাঙালীর  দুর্ভিক্ষে দুঃখে দুর্দিনে,
ঘনঘোর অন্ধকার মুছে অরুন উষায় ফুল ফুটাতে-
নিশি অন্তে নব-প্রভাতে।