মধ্যরাত্রি লম্পটের পদধ্বনিতে কেঁপে উঠে এই ঘুমন্ত নগরী ;
চারিদিকে শুধু শ্রথিত আত্মার রোল,ধর্ষিতার চিৎকার,
লুটতরাজের হুংকার!

আমার বিনিদ্র চোখে বাহিরের দিকে তাকিয়ে দেখি,
ঐ নির্মল উজ্জ্বল ঝিলমিল আকাশটা বিবর্ণ-ধূসর!
গোটা নগরীর শরীরে আলকাতরার মতো প্রগাঢ় কালো প্রলেপ;
দেয়ালে দেয়ালে আঁকা রক্তের ভীম আলপনা।
অবিশুদ্ধ বাতাস, রজনীগন্ধার সুবাস নেই,-
অর্ধগলিত পঁচা লাশের উৎকট গন্ধে আমি শ্বাসরুদ্ধ!
জনশূন্য রাস্তার দখল নিয়ছে কিছু দলবদ্ধ 'সকুর'-শৃগাল ;
রাত-শকুনেরা নিয়েছে অলি-গলি লীজ!
আমি এ কি দেখি, -আমার চিরচেনা জীবন্ত শহরটা
অদেখা এক মৃত্যুপুরী মতো ভয়ংকর ;
এমন ভীম দৃশ্যের দর্শনে আমি কেঁপে-কেঁপে উঠি।


হে নগরী, হে ভয়ংকর পুরী!
আমার নিদ্রা তৃষিত দু'চোখে একটুও শান্তি নেই,
নিদ্রাবিহীন অস্থিরতা!
আমি একটু শান্তিতে দুচোখ ভরে ঘুমাতে চাই!
যেমন ঘুমায় নিশ্চিন্তে মায়ের কুলে সদ্যোজাত শিশু !!


রচনাঃ ০৭-০৮-২০২২ খ্রিস্টাব্দ
সুনামগঞ্জ জেলা সদর।