হে কবি! হে ত্রিকাল তপস্বী -
হে অতীতের সাক্ষী হালের আরশি,
অনাগত কালের ভবিষ্ণু পথ দিশারী-
হে ভাষা-বিশারদ চিরন্তন উক্তি কারী।
কোথায় তব অবিনশ্বর বাণী? কই সে মহা-লিপি?
আজ নিশ্চুপ কেন তুমি? হে কবি তূষ্ণীম্ভূত!
নিশ্চল কেন তব মস্তিষ্ক? তবে কি নিবিড় নিদ্রাগত!
তোমা' কবিতার খাতা ফুরালো নাকি ফুরালো মসি?
না কি অভিমানে সব ছেড়ে অগোচরে রয়েছো বসি।
আজ তোমায় বড্ড প্রয়োজন কবি!
এখন মৌনতার ক্ষন নহে,
লিখতে হবে রুখতে হবে বিষম সংকট বহে।
হে কবি যদি না পাও কবিতার খাতা কিংবা পেন্সিল
ফের পারোনা কবি !
আপন বক্ষ ভেদী টকটকে টাটকা রক্তে,
তব বিপুল দিঘল-প্রসস্থ হৃদয়ের খাতায় লিখতে -
রক্তলিপির মহাকাব্য?
পারোনা কবি তব লেখনীর বহ্নি শিখায়
জ্বালিয়ে দিতে সেই প্রকোষ্ঠ
যেথা রাখা হয়েছে দিন দুপুরে হরণ করে গণতন্ত্র ।
রচিতে পারোনা কবি! একটি নব বিধান গ্রন্থ?
যেথা জন-সাধারণের মৌলিক চাহিদা নির্ঘন্টত
এবং তাদের যত দাবী যত অধিকার রবে সু-বিন্যাস্ত।
এবার জাগ্রত হও! জাগ্রত হও হে কবি মহারথী,
দেখো চেয়ে চারিদিকে নিভু নিভু সত্য-জ্যোতি।
ঘনঘোর অন্ধকার ছেয়ে যাচ্ছে চারিপার্শের সবি,
জ্বলে উঠো জ্বালাও বিশ্বের বুকে গণতন্ত্রের-রবি।


উৎসর্গঃ কবি মার্শাল ইফতেখার আহমেদ।