পৌষের কুহেলি ধূম্র নিশিতে ঝিরিঝিরি হিম পবন বহে,
আর স্নিগ্ধ জ্যোৎস্নার কিরণ ঘুলঘুলিতে প্রবিষ্ট মোর গৃহে।  
মোর তন্দ্রাবিষ্ট আত্মা স্তব্দতায় আছন্ন আকস্মাৎ নিদ্রোত্থিত,
শুনি ঝংকৃত সুরে নিশি জাগিয়া পাখিরা গাহে সংগীত।
শয্যাছেড়ে ধীর পায়ে হেঁটে আসি অলিন্দে,
সৌরভ্য চতুঃপার্শ্ব নিশি ফোটা পুষ্পের সুগন্ধে।
বাহিরে চাহিয়া দেখি পূর্ণমাসী চাঁদ উদিত গগনে,
আর কা'র আধো আধো পদধ্বনি ভেসে উঠে মোর কর্ণে।
কে যেন ছুটে চলেছে একাকী অসীমের পানে,
ফুল আর জোৎস্না উপেক্ষা করে ক্ষুব্ধ অভিমানে!
আমার ব্যকুল মন আকুল তিয়াসে-
ফুল পাখি জোৎস্নার কাছে জিজ্ঞাসে।
সহসা কে এলো সে কে? সে কে?
ফের চলে গেল বুকে ব্যাথা ল'য়ে এক সিন্ধু,
ওরা বলে,- চিননে তাঁকে!জাতির জনক বঙ্গবন্ধু।