“সোজা হয়ে দাঁড়াও! ”—আমি সোজা হয়ে দাঁড়ালাম।
সোজা হলে বলো, বাঁকা হতে।
বাঁকা হলে বলো, সোজা হও।
“এর সাথে কথা বলবেনা, ওর সাথে চলাফেরা করোনা!
এখানে যেওনা,ওখানে যেওনা"— স্বৈরশাসকের মতো একটার পর একটা কঠোর শর্ত
আর কঠিন নিষেধাজ্ঞা আরোপ করে রেখেছো আমার উপর ;


তোমার ইচ্ছাতে চুল কাটতে হবে,
তোমার প্রিয় রঙের জামা পড়তে হবে;
তোমার পছন্দের পারফিউম মাখতে হবে।
তুমি হাসলে আমাকে হাসতে হবে,
তোমার মন খারাপ হলে -
সে দুঃখের ছাপ আমার মুখে আঁকতে হবে।


প্রেমের নামে আমার স্বাধীনতাকে বানিয়েছো তোমার হাতের খেলনা-পুতল!
অনুভূতির ফাঁদে ফেলে আমাকে বন্দি করেছো একটি জঘন্য কারাগারে,—কত নির্মম তুমি!
সেখানে অমানবিক সান্ত্রীর মতো বৈদ্যুতিক শক দিয়ে ঝাঁজরে দিয়ে আমার হৃৎপিন্ড;
আবার ক্ষত চিহ্নে তোমার কোমল হাতের স্পর্শে  মলম ম্রক্ষণ করতে আসো ,
ঠিক আজকের চাটুকার আমলাদের মতো;


মহানন্দা, তুমি আমার প্রেম, আমার স্বপ্ন
কিন্তু বিশ্বস্ত প্রেমিকা হতে পারোনি!
তোমার প্রত্যকটি মিষ্টি কথা প্রবঞ্চনাপূর্ণ
আমি বুঝতে পারি ভণ্ড নেতারা যেভাবে জনসাধারণকে মিথ্যা আশ্বাস দেয়;

আমি প্রেমের নামে এই দাসত্ব চাইনা!
স্বাধীনভাবে বাঁচতে চাই, ফিরে পেতে চাই আমার মনের সার্বভৌমত্ব ;
এতে যদি তোমার সাথে বিচ্ছেদে হয়, -তবুও হোক!


আর না হলে উন্মাদ প্রেমিকের মতো রাজপথে নেমে তোমার স্বৈরাচারিতার বিরুদ্ধে বিদ্রোহ ঘোষণা করবো।