হে মহানন্দা সহাস্য প্রফুল্ল প্রবাহিণী,
সুললিত কল্-কল্ কল্লোলিনী।
ওগো চপলা চঞ্চলা অধীরা বেগবতী
সরিৎ-সুন্দরী গঙ্গা-কুমারী স্রোতঃস্বতী।
রূপবন্তা অপরূপা কি মোহিনী মায়ায় -
ষড়ঋতুতে হেরি দ্বাদশ রূপ-শোভায়
ওগো ঋতু রূপসী!
নির্মলা শুদ্ধা-নদী শরত-শুভ্রাকেশী।
আদুরিণী মোর! তব মেখলা তীরে
কত দিবস-রজনী বহুবর্ষ ধরে?
অপেক্ষিত তৃপ্তির আশে তব বেলাভূমে  -
কবে নিবে টেনে বুকে, কবে দিবে চুমে?
হে সুধাময়ী অনন্তযৌবনা!
অতৃপ্ত রহি রহি কাঁদে মোর অস্থির কামনা,
তবু পেল না ঠাঁই তব বুকে দিলে ঠেলে -
আনন্দদায়িনী আনন্দে নহে অশ্রুসলিলে।
নিঃসঙ্গ নিঃস্ব রিক্ত বুকে অতৃপ্ত বাসনায়,
আজি তব কুল ছেড়ে বিদায়-
এই ঘনঘোর বর্ষায়। গগনে গুরুগুরু গর্জন
মেঘে মেঘে ঘর্ষন, আকাশ-কুসুম বর্ষন -
জলে তোমা' দু'কূল ছাপিয়ে উঠিবে নাচনে!
ওগো বর্ষা-নটিনী জল ছলছল নর্তনে -
সর্পিলাঙ্গে অভিনব ভঙ্গে,
দুলিয়া দুলদুল আনন্দ তরঙ্গে।
বুঝেছি এই সাজ এই তব মত্ত নৃত্য -
এই অপরূপ রূপ লালিত্য,
হয়তো তারই জন্য!যে তুমার প্রেয়সী সুন্দর ;
তোমার যে আকর্ষন ঐ সূদুরিকা শশধর ।