যগাঃ বড্ড চুপটি করে ভাবছো কিসে এতো?
গুমরো মূখে পালন করো কিসের মৌন ব্রত!


ঠাকুরদাঃ ওরে যগা! জগৎটা যে এক আজবখানা!
কে রক্ষক?কে যে ভক্ষক? আসল-নকল কঠিন চেনা!
বাহিরে সুন্দর মোড়ক ভিতরে সব অশুচি আবর্জনা।
কাহার ধন কে গ্রাসে ভাই?  কে সাজে আজ সত্যবান?
নিশাতে যে নিশিত-চুর দিনমানে মাল্যদান!
মিথ্যার জগদ্দলে পড়ে চাপা সত্য যে আজ বাসি,
সত্য মিথ্যার বাটখারাতে সত্যরে দেয় ফাঁসি।
অন্যের বিত্তগ্রাসে-বিত্তশালী মনে পোষে বিপুল অহমিকা,
অতি ক্ষুদে আঁখি দিয়ে হেরে সকলই ক্ষুদ্র পীপিলিকা।
আজ ভণ্ডরা সব সাধুবেশে সাধুরা সব দোষী,
সয়তান আজ মুখোশধারী মহাযোগী ঋষি!


যগাঃ আফসোস দাদা! আফসোস!  


ঠাকুরদাঃ নেত্র মেলে দেখতে জগৎ দেখি যে সব মন্দ,
স্তব্ধ আমার মুখের বাণী সেজেছি তাই অন্ধ।
তবে ওরে যগা,একটা গল্প বলি ব্যাথাতুর মনে-
❝ একদা এক- অরণ্যে -
এক ছিলো সিংহ এক শাসক এক সে রাজা,
নিনাদে তার নিদ ভাঙিয়া উঠতো বনের সকল প্রজা।  
এখন সেকাল বাসি! ওরে যগা সে কাল শেষ!  
মূষিকে তাড়ায় বিড়াল,বাঘে ডরায় মেষ।
শিয়াল চুর বনের কুবের, শশক হলো রাজা,
সিংহ বেটা বার্ধক্যতে সেই বনের-ই প্রজা। ❞


যগাঃআফসোস! দাদা আফসোস!