এখন রাত,অনেক রাত
চারিদিকে নিস্তব্ধতা
জনশূন্য এক অন্ধকার
চারিদিকে তাকিয়ে দেখি
কোথাও কেও নেই
আছে শুধু অন্ধকার
আর ডাকে ঘোগরো পোকার দল
আর দুরে অনেক দুরে-
সমুদ্র। সমুদ্রের মাঝখানে
টিম টিম করে জলে আর নেভে
জেলে কি বেদের বহরে
পাঞ্জেরীতে বাধা লণ্ঠন
হয়তো সেখান থেকেই ভেসে আসে
ঢেউয়ের গর্জন।
এখন অনেক রাত , গভীর রাত
ভেসে চলে সারি সারি নৌকা
অলক্ষ্যে জলস্রোতে
নিজেকে প্রকাশে।
মাঝে মাঝে কেপে ওঠে বুক
বাঁশ ঝাড়ে বসা হুঁতুম-
পেঁচার ডাকে।
প্রিয় হারা - শোকে বৃদ্ধ কুকুরটির
করুণ হাঁকে।
সমুদ্রের তীর ভেঙে ভেঙে পড়ে
বিলিন হয় ঘর বাড়ি কালস্রোতে
ঢেউয়ের আঘাতে আঘাতে।


অশ্রান্ত শরীরে এখন
ঘুমের সমারম।
পাহারায় রত শিথানে নিশি
কায়া ক্লান্ত রাখাল শাবক
সেও ঘুমের দেশের সাথি।
মধু মিশানো সুরের বাঁশি
প্রচন্ড শীত চারিদিকে
ঘন কুয়াশার আবরণ
বিন্দু হয়ে জেগে ওঠে শিশির
হয়ে তৃণের আস্তরণ
ওই দূের পথে বনের  পাশে
কে যেন ঐ যায়।
চাঁদর জড়ায়ে টানে বারে বারে-
সে, জীর্ণ শীর্ণ কায়ায়।
কেবা সে ভবানী চলে উজ্জয়ীনি
ওগো নিশি ভাই-
বলতে পার কি তার নাম ধাম?
পথের সাথি করেছ রথি
ছাড়ি প্রিয় গাঁ
অন্তরে তেভাগা গড়েছে বসতি
কোন সে অভাগা।
              রচনাকাল : ০১/০৫/২০
              প্রকাশকাল ১৯/১১/২০১৮ (যশোর)