আর কতকাল পড়ে রবে
শশ্মান ঘাটে যতীনি ?
তোমার বিমর্ষতায় হাহাকার-
আজ এই শশ্মান বাসিনী।
জানি সে তোমার অন্তর্দেশ জুড়ে-
আছে অঙ্গ-প্রত্যঙ্গ, শির-উপশিরে।
বহে রক্তে স্রোতধারা মন শশ্মান নীড়ে
তাই পড়ে রও চিতা সম্মুখ পানে।
নির্বাক নেত্র বারি ঝরে অঝোরে-
দিবানিশি। মন বেড়ি দিয়ে তারে
যায়নি বাধা বারে বারে কোন কালে-
আস্তাবলে।


জানি ঘোর অন্ধকারে তারই
প্রতিচ্ছবি হয় বিভাসিত
ক্ষণে ক্ষণে করে জাগরিত
আবার সূর্যোদয় হলে হয় মুর্ছিত।
রাজ্য প্রাসাদ ছাড়ি
শশ্মান করে বাড়ি
চিতা ভস্ম জড় করি
আচলে বাধা।
ঘটবে জীবনের অবসান
মরনেরেই আঁকড়ে ধরি।


    রচনাকাল : ৩০/০৭/২০০৯