বিস্ময়ের ভাবনা
         'রিপন রায়'


আমি একেলা বৃষ্টিরাতে
ঘরের মাঝে আমি একেলা
একেলা আমি মধ্যরাতে
বৃষ্টি পড়ে টাপুর টুপুর
টিনের উপর ।
দখিনা বাতাসে ওপাশের
জানালার কপাট খুলে যায়
জাগরণে শিহরণে মনটা শিহরিত হয়
আমি একেলা আমি একেলা
মনে শুধু ভয় হয় ।
বাতাসে দরজাটা দোল খাচ্ছিল ,
আকাশে সাদা মেঘ পাক খাচ্ছিল,
মেঘেরা ঘর্ষণে বিদ্যুৎ চমকাচ্ছিল,
হঠাৎ কার পায়ের শব্দ
আর বিদ্যুতের আবছা আলোয়
তার মুখটা দেখা গেলো।
আশেপাশে কেউ নেই
ঘরে বিদ্যুত বাতি নেই
মোমবাতি আর দেয়াশলাইটা
কোথায় পড়ে আছে তার ইওত্তাও নেই ।
ঘুটঘুটে অন্ধকারে
বুকের ভিতর ভয়,
ঘরে আমি একেলা
গা-টা ছমছম করছিল
মনটা আঁতকে উঠল
আমি মূর্ছা গেলাম।
ছাদ গলে বৃষ্টির জল পড়ছিল
দু এক ফোটা চোখেও পড়ল
আমি জেগে দেখি তাকে
নক্ষত্রের মাঝে আমি
দেখেছিলাম যাকে
হয়তো ভেবেছিলাম তাকে।
আমি শুনেছিলাম বাদলা মাথায়
মিষ্টি সুরে তার কণ্ঠে গান ।
আমি বিস্ময়ের চোখে দেখি তাকে
তার কণ্ঠে জুড়ায় আমার প্রাণ ।
একেলা আমি একেলা
গাছ ভাঙা এই ঝড় বৃষ্টির রাতে
মধ্যরাতে আমি একেলা
সে এসেছিল বিদ্যুতের সাথে
বিদ্যুত রেখা হয়ে ।
সে কি সত্যিই এসেছিল!
কোথায় হারিয়ে গেল
পাতা ছেড়া দমকা
হাওয়ায় সাথে
সেই বাঁধ ভাঙা
কাল্ স্রোতের সাথে ।
কেনো ছুঁয়ে দেখল না
ছুঁতে দিল না মোরে
আজও ভাবি বিস্ময়ের ভাবনা
বিস্ময়ের ভাবে ।


রচনাকাল: ১০/০৩/২০০৯