কাল নাগিনী
        রিপন রায়


বাঁশি বাজে ঐ মধুর লগনে
তিক্ততায় ভরা এ মন।
তোমার ঐ কুদৃষ্টি-
সুদৃষ্টির অতল গর্ভে
আমি এক বিষাক্ত প্রাণ
প্রকৃতির প্রচলিত নিয়ম
সেতো  নিজ গতিতে বেগবান
তোমার ঐ সুচতুর সুকৌশলে
আমি কুপোকাত।


সরল  মনে আমি তোমাকে
চিনতে ভুল করেছি
অবুঝ মনে তুতরা বনে
গড়াগড়ি দেবার মতো।
তুমি বাসা থেকে বের হয়ে
দু-পা এগোবার সাহস ছিল না
চারিদিকে হায়েনা আর
হারিয়ে যাবার ভয়ে।
ডাক-বাংলার মোড় ছিল
          সুদূর চীন সমান।
তুমি ছিলে তখন
        নতুন জলে ফোটা
এক টুকরো শাপলা ফুল।
আমি তাতে লাগতে দিইনি
একটিও কাটার আঘাত।
আমার প্রেমের নতুন পাঠশালায়
তোমার  প্রথম হাতেখড়ি।
তোমার ঐ হাত অপবিত্র হোক
এ ছিলনা মোর চাওয়া পাওয়া
তুমি ছিলে আমার কাছে
           সতী - সাবিত্রী।


তবু কেন ঐ কুচক্রি মন -
        অপবিত্রতায় ভরা।
তোমার ঐ বিশ্বাস ঘাতকতা আমাকে
পারেনি আজও তোমার পথ থেকে সরাতে
বিছানো মমফলের কাটার
                উপর দিয়ে হেটে
চড়কবন ভেঙে আজও মন -
মনের কাছে আসতে চায়।
আসতে চায় সাত সমুদ্দুর -
তেরো নদী পার হয়ে
উত্তপ্ত সাহারার বুকে হেঁটে
শুধু তোমার কাছে।
কিন্তু মনে কেন জানি-
একটি বাঁধার সৃষ্টি হয়
তেমার ঐ লোভাতুর মনের কাছে আসতে।
আমি হেরে গেছি - তবে মানিনা এ পরাজয়।


তুমি আজ অন্যের টাকায়
চন্দ্র পাহাড়ে উঠতে  চাও
এভারেস্ট ছেড়ে আরও উপরে
আত্মার আত্মীয়কে ভুলে গেছো
অহংকারের ভ্রমে।
যে সর্বদা স্বপ্ন দেখে
তোমাকে সর্বোচ্চ স্বর্ণ শিখরে
পৌছে দেবার।
তুমি তাকে!
আজ ভুলে গেছো
ঘৃণার পাত্র ভেবে।
শ্রীকান্তরা তোমাকে
কী সুখ দেবে !
...... তুমি বিচিত্র মনের অধিকারী
মনের মানুষ মারতে সিদ্ধ হস্ত
অধরে মেখে হেমলক।


তুমি এখন রাস্তায় বের হলে
রাস্তার কুকুরটাও মুখ ফিরিয়ে নেয়,
ভিখারিরা করে থুথু
কাকের ডাকে শহরবাসি অতিষ্ট
পূর্ণিমাতে অমাবশ্যার চাঁদ ওঠে
প্রভাতে উঁকি দেয়না ঊষা
সূর্য গ্রহণে চারিদিক ছেয়ে যায়
ঘন অন্ধকার
আজ তোমারই পদচারনায়।


রুপের বাজারে বেচা কেনা -
                          হয় তোমার,
নিশি দিবানিশি প্রতিটি ক্ষনে ক্ষনে
কাঁচা টাকার গন্ধে তুমি মাতোয়ারা
          তাই ......
আমার  বন্ধুরা তোমার নাম দিয়েছে
কাল নাগীনি।।


রচনাকাল : ২১/০৩/২০১৯
রচনার সময় : ১২ : ৫৭ মিনিট (রাত) > যশোর বেজপাড়া।
প্রকাশকাল :১৫/১১/২০১৯ > যশোর বেজপাড়া।