আমি দেখছিলাম সুদূর অতীতে
কোনো এক প্রেয়সীর প্রিয়জন হারানো কান্না
দেখেছিলাম লাশের শিয়রে বসে সে
অঝোর ধারায় ঝরিয়েছিল চোখে বন্যা ।
আহ্ সে কি নির্মম দৃশ্য
চিতার দহনে চোখের নিমেষে
পুড়ে হলো ছাই, প্রিয়তম দেহ
সে এক করুন দৃশ্য-
দেখেছিলাম আমি আর বিশ্ব।


আজ আশার প্রদীপ নিভেছে তার
চারিদিকে ঘুটঘুটে অন্ধকার
জানালায় দাঁড়িয়ে একেলা যতীনি
চারিদিকে বসেছে মেলা নিস্তব্ধতার।


আজ প্রতিটি পদচারণায়
থেকে থেকে জেগে ওঠে স্মৃতি
ভেবে ভেবে হায় জেগে ওঠে হৃদে
হাজার রকমের শকতি।
প্রিয়তম অঙ্গ করিত রঙ্গ
রচিত শত সহস্র স্মৃতি
গাছের শাখায় জলিত হাজার
জোনাক পোকার বাতি।


তবুও আজ
        সাজে সখি
প্রিয় বাসনায় কাতর দেহ।
শুকনো পাতার মতো
জল পিপাসায় মরে সে-যে
প্রিয় বিরহে হতাহত ।


জানালার পাশ দিয়ে চলেছে পথ
চলেছে পথের পথিকগণ
সুধায় বারে বারে, প্রিয় সখা তার
কোথায় আছে, আছে সে কেমন?
উঠান মাঝে রাখা আছে আজও
জলচৌকি আর বদনা ভরি জল
প্রিয়তম আশায় বসে থাকি থাকি
চোখে পড়ে যায় কাজল।


মাঝে মধ্যে গাছের পাতারা সব
নড়ে চড়ে বসে হায়
প্রিয় সখা মুখ ভেসে ওঠে ওই
চাঁদের আঙিনায় ।
দুয়ারে দাঁড়ায়ে করে ডাকাডাকি
বলে আয় আয়।
পিছন ফিরে তাকিয়ে দেখি প্রিয়
সে-তো চলে যায় ।
পিছু পিছু ছুটে চলে সে যে
প্রিয় ফিরে নাহি চায়।
ভরা যৌবন ফাগুন মোরে
বসন্ত যাতনায়
প্রিয় শোকে বিচ্ছেদ সাগরে
ব্যাথা ওঠে উথলিয়ায়।


রচনা কাল: ৩০/০৪/২০১৪
প্রকাশকাল: ২৬/০৭/২০১৯