শ্যামা মেয়ে
          রিপন রায়


শ্যামলী তুমি দেখতে খুব সুন্দর
দেখে জুড়িয়ে যায় এ অন্তর ।
প্রথম যেদিন তোমায় দেখেছি
দেখেছি মুখে অম্লান হাসি
তুমিও যেন দেখতে ওই-
               দূর আকাশের শশী ।


বন্ধু সকল মাঝে
              তুমি আছ বসে
আড্ডা মত্ত আজ
তোমারই অট্টহাসি রসে।
শ্যামলী তুমি কি সত্যিই শ্যামলী!
নাকি সুন্দরী,  না রূপসী ,
নাকি শিল্পীর মধুর কণ্ঠস্বর, হাতের আঁচড়
        হয়তোবা তাঁর গানের উর্বশী।
হয়তোবা তুমি হবে
আনমনে রোদ্যার হাতের আঁচড়
কোনো কাননের সূর্যমুখী ফুল
নয়তো বা নববধূর লালপাড়ে
                  শাড়ির আঁচল ।


তোমারই এলোকেশে
          কবিরা সব ভাবাবেশে
                 উদাস নয়ন।
তোমারই নিদ্রাদেশে
           কবি সকল স্বভাষে
                  করিছে সঞ্চয়ন।


তুমি পূর্ণিমার চাঁদ
মায়াবী হরিণীর চোখ ।
সোনার চাদরে মোড়া অঙ্গখানি
হীরের টুকরোয় বাধা নোলক।


তুমি নও শাসিত
            করেনা কেউ শাসন
চলো নিজ গতি মতো।


তুমি সিদ্ধাচার্যের গেরুয়া বসন
           তুমি রবী ঠাকুরের ধ্যান,
নজরুলের কালীর দোয়াতে জ্ঞান ।


পদ্মা গঙ্গা যমুনা তিস্তা
রূপে গুণে সবার উর্ধ্বে
তবুও তারা আজ মৃত সার লজ্জা ঘৃণায়
তোমারই কাছে পরাজয় মেনে নিতে ।


শ্যামলী তোমার রূপের বাহার
        নিত্য হয় প্রচার
       তোমারই অজান্তে ।
তুমি না বিলাও গুণ
নিজ গুণে গুণ বিলায় দ্বিগুণ
      অবিরত দিন দিনান্তে।


শ্যামলী তুমি সরিষার ফুল
মৌমাছি করে গুণ গুণ
               মধু সংগ্রহে।
তুমি উর্ধ্বশাসে দাড়িয়ে আছো
        অবতারিণী হয়ে
                 নির্ভয়ে ।


তুমি নও মোনালিসা-ঐশ্বর্য-রাই
        তুমি শুধুই শ্যামলী
         বিশ্বকে করবে জয়।
শ্যামলী আমার তুমি আমার
        থাকবে আমার মাঝে
                 সকাল সাঝে।
তুমি শ্যামের বাঁশি, বাসি নও,
নও বাসি ফুলের মত
তুমি যে সদা জাগ্রত ।।


রচনা কাল:: ১৭/০৭/২০০৯
প্রকাশকাল:: ২৩/১১/২০১৯