অম্বর-দিগম্বর
।।।।।।।।।।।।।।


অলস দুপুরের মেঘটা ব্যস্ত হয়ে ভেসে যাচ্ছে
পিছন ফিরে তাকাবার অবকাশ নেই
খন্ড চিত্র তাই বলছে।
কেউ যেন দীর্ঘ প্রতীক্ষায় আছে
ব্যস্ততায় তাই যায় এঁকে এঁকে।


অম্বর পানে চেয়ে কাঁদে দিগম্বর,
বুকের হাপরে বেদনা বাজে অষ্টপ্রহর।
দুই চোখে জলের ধারা গাল বেয়ে আসে বুকে,
নিদারুন স্মৃতির ভাবনা জড়িয়ে
ধরে শুকনো দুঃখী মুখে।
কয়েকদিন আগেও এই মাটি জল
পাখপাখালী ছিল কত আপন।
পাখির ডাকে,মাটির সাথে
গাছের ছায়ায় মাদল হওয়ায়
কাটত জীবন ভীষণ সুখে।
সুখের হওয়ায় জীবন ধারায় চাঁদের হাটে
বাধলো বিধি বাম,
প্রলয় ঝড়ে উড়ে গেল মিটে গেল পিতৃকুলের ধাম।


শতক দূরে পড়ে আছে দালান ভাঙার ধ্বংসাবশেষ,
পাঁজর ভাঙা বুকের বেথ্যায়
অংশ বিশেষ বেঁচে আছে দিনে রাতে।
একটু দূরে পড়ে আছে তিন পুরুষের তুলসী মঞ্চ
গাছটা কোথায় হারিয়ে গেছে পাইনে যে তার শেষ অংশ।
জলের তলে গেল ডুবে উঠোন ভরা ধানের গাদা,
গোলা ঘর আর বসত বাড়ি।
সব কিছুই আজ টুকরো টুকরো,এলোমেলো
অদ্ভুত এক শ্মশান বাড়ি।


আসমানী রং ফিকে লাগে-
ধূসর রং সর্বময়
সোহাগ কথায় অশ্রু ঝরে  চারিপাশ আজ অঙ্গারময়।
সবই আছে আশেপাশে
দিগম্বর আজ সত্যি দিগম্বর
তার দুঃখের কথা কেউ জানে না
শুধু জানে ওই নীল অম্বর।