বনবীথি মন
**************


মেঘলা দিনে অবস মনে
তাকিয়ে আছি আকাশ পানে।
ঝিরি ঝিরি বর্ষা এসে
চোখের পাতা ছুঁয়ে শেষে
মনের দরজা দিলো খুলে,
এলোমেলো জলের ফোঁটায়,
জাগিয়ে দিলো মনের ব্যাথা।


ঝোঁকা হওয়ায় তেঁতুল পাতা
ঝরে ঝরে যাচ্ছে উড়ে,
আবেগ ভরা স্নিগ্ধ পরশ
অলস মনে উঠছে বেড়ে।
বারি ধারায় হিমেল হওয়া
যাচ্ছে ভেসে দূরে দূরে,
কালো মেঘে বাজনা বাজে
বজ্রাঘাতের সুরে সুরে।


মাথায় ছাতা হাতে জুতা
কাদা পায়ে আসছো ধীরে
নীলাম্বরী শাড়ির আঁচল ভিজে
জড়িয়ে আছে শরীর জুড়ে।
উঁচু নিচু পথের মাঝে
আগলে রেখে
শাড়ীর আঁচল মাথার ছাতা,
বৃষ্টি বাদল ঝড়ের মাঝে
কাদা জলে তোমার সাথে প্রথম দেখা।


কাদা জলে পাশে পাশে
তিনক্রোশ হেঁটে একসাথে
তিন অভিমুখে রাস্তায় এসে
কিয়োৎ ক্ষণ দাঁড়িয়ে দেখে
দক্ষিণ দিকে গেলে চলে
পায়ে পায়ে পথ চলা বর্ষা মাঝে
রাস্তা বদল মেনে নিলাম মৌন মনে
বৃষ্টি ভেজা চোখের তারায়
ভালো লাগা মনের কথা
রয়ে গেছে মনের কোনে।


উদাসী মনের জানালা দিয়ে
বাদল দিনে তাকাই যখন,
চোখে ভাসে-
তুমি ছাতা মাথায়
আর তোমার
উড়ে যাওয়া নীলাম্বরী শাড়ীর আঁচল।