বাঁচি মহা সুখে
।।।।।।।।।।।।।।।।।।।।
রক্ত চোক্ষের উত্তপ্ত অম্ল জল
স্ব শব্দে ঝরে পড়ল তপ্ত বালু ভূমিতে।
দু-চক্ষের ধারায় বহমান অগ্নিপ্রভা
দু বিন্দু জলের পরে অশ্রু শুকিয়ে গেছে
নির্বাক নির্বিকার নিষ্পলক নয়নে  
দাঁড়িয়ে রত্নগর্ভা।


লক্ষ নিযুত দুঃখের ভিড়ে
শত কোটি অভাবের নীড়ে।
সহস্র বেদনার বোঝা নিয়ে
স্নেহের পরম ছায়া দিয়ে।
নিজ হাতে গড়া মহীরুহ
অকালে গেল শুকিয়ে।


বাবুদের লেঠেল বসত ভূমি
করেছে দখল,
বাপ ঠাকুর্দার জমি থেকে
নিমিষে হলো বেদখল।
প্রতিবাদে বুক চিতিয়ে দাঁড়ালো
মায়ের দামাল ছেলে
বাবুদের লেঠেল দুম দুম করে
বুকে গুলি দিলো ঢেলে।
মায়ের মহীরুহ গেল অকালে
এমনি করে বিচার হবে প্রতিবাদ করলে?


দলে দলে কত নেতা
কত সূত কত সূতা
এলো আর গেলো
মায়ের বেথ্যার খবর কি
কেউ পেল?
বাঁধানো পোষাকী ভাষায়
আহা উহু শব্দে অঙ্গ হেলিয়ে যায়।


নানা জনের নানা ভাব
কারো আছে উদারভাব।
দলে দলে সংবাদ মাধ্যম
দানা বেঁধে সকাল বিকাল।
অদ্ভুত নাটকীয় কারণ খোঁজে
প্রচারের ভাঁজে ভাঁজে
গিলছে সবাই মুখ বুজে।
ভাষা এখন অর্বাচীন
প্রতিবাদ এখন অসমীচীন।


দিনে দিনে বিচারের ভাষা
গেল অস্তাচলে।
ধীরে ধীরে সবাই মুখ ঢাকলো
বিস্মৃতির দলে
মেরুদন্ড ভেঙে নত শির মুখে
সবাই বাঁচি আনন্দের মহা সুখে।