বেনু দা,
//////////


নগরের গলিতে গলিতে
জমেছে জঞ্জালের স্তুপ,
সাফাইয়ের লোক নেই,
ভরে যাচ্ছে অলিগলি,রাস্তার মুখ।
সভ্য ভদ্র বাবুবেশি হালের-
ফ্যাশান হাউসিং বাসী,
প্রতিদিনের আবর্জনা -
ফেলে যায় মুখ ঢেকে,
মনে করে গর্বের নগর বাসী।


চার দিন হলো আবর্জনা বাড়ছে
জমে জমে,
দূর থেকে দেখে মনে হয়
হিমালয়ে আছি আরামে।
সারমেয়,ছাগল,গরু,কাক
ইঁদুরের লেগেছে মহামিলনের ঢেউ,
তারই মাঝে পোশাকি বাহারে
গাত্রচর্ম ঢেকে নাক ছিটকে যাচ্ছে কেউ কেউ।


নগর বাসী নাক চেপে,
পায়ে পায়ে,লাফিয়ে কিংবা
গোড়ালিতে ভর দিয়ে
বয়ে নিয়ে যায় ঘরে দুয়ারে।
সাথে নিয়ে যায় স্বজ্ঞানে
মুক্ত হস্তে রোগ জীবাণু সভ্য অহংকারে।


বেনু দা,
বিগত তিন দশক ধরে
নিশুল্ক-নিঃস্বার্থ ভরে,
নিষ্ঠার সাথে প্রতিদিন নিয়ম করে,
গেছে নগরের অলিগলি পরিষ্কার করে।
একটা পয়সা দেয়নি কেউ,
পায়নি কোনো পারিশ্রমিক,
পায়নি কোনো পুরস্কার
কিবা সরকারি সাম্মানিক।


গত তিন দিন হল বেনু দা
গেছে মরে,
ঘর বন্দি পচা লাশ তবুও
কেউ খোঁজ নিলো না,
বেনু দা থাকতো নগরের
অনতি দূরে।


মোড়ের মাথায় আড্ডা মারা বখাটে ছেলে গুলো
দলবেঁধে নিয়ে গেল মালা চন্দনে,
শ্মশান ভূমির চিতা জ্বালালো ।
ফিরে এসে সবাই মিলে জঞ্জাল করলো সাফ,
মুক্ত হলো অলিগলি রাস্তার মুখ,
তবু সভ্য নগর বাসীর মনে দুর্গন্ধ ভরে আজ।


বখাটে যারা বসালো তারা রাস্তার মুখে,
বেনুদার এক ছয় ফুট তাম্রমূর্তি,
বখাটে গুলোই বর্ষপূর্তি স্মরণ করে,
শোনায় বেনুদার ফেলে যাওয়া অক্ষয়কীর্তি।


প্রথতিযসা,বলে পরিচিত যারা,
চলনে বলনে মার্জিত পোশাক সম্মেলনে
সবার আগে চেয়ারে বসে,
অহংকারের সাথে সাংবাদিক ডেকে
ভদ্র বাবু বা মেম বলে
অটোগ্রাফ বিলায় হাসি মুখে।।