চক্রবুহ্য
#############


ধূসর এক ফালি মেঘ,
আঁকাবাঁকা অল্পনায়-
আনমনে উড়েগেল ,
বিকেলের পড়ন্ত রোদে ।
মাঝে এক ন্যাড়ামুড়ো তালগাছ,
মাথাতুলে অবহেলায় দাঁড়িয়ে ।।


অধৈর্য্য-
মেঘ তার আপন মনে;
কখনোও গড়ে কখনও ভেঙে,
আকাশের বুকে কত নকশা
নক্ষত্রের আলোয় আলোয় ।।


বছরের পর বছর ধরে-
কখনও নত, কখনও আনত,
কখন বীরদর্পে ধীর,
মাথা উচুঁ করে দাঁড়ায়ে বীর,
জীবন্ত সাক্ষী,ন্যাড়া তালগাছ,
কতশত প্রানালির ,
বিপদে,বাদলে,প্লাবনে তুফানে,
নির্বিকার অবিচল স্থির,
ধৈর্যের অনন্ত এক
বিরল প্রাচীর ।


যখন গ্রামের  মেয়ে সুতনুকা,
নব বধু হয়ে গেল,রেখে গেল
পদচিহ্ন আর পাদুকা ।
দূরে আরো দূরে ,
কোনো এক অজানা গাঁয়ে,
তখনও তুমি মাথা উঁচু করে,


বর্বর নব্য সমাজের লালসার জালে ,
মৃত্যুর মুখে গেল ঢলে,
শুধরবার সুযোগ দিয়ে গেল।
সমস্বরে চিৎকার করে বলেছিল
পরিবর্ধন নয়, চাই পরিবর্তন
আর সুনিবিড় এক বন্ধন
তখনও তুমি নির্বিকার-
অবাক হওনি! হায়!
নির্বোধের মতো তাকিয়ে ছিলে,
ভাবি প্রজন্মের পরিবর্তনের আশায় ?


দু-টুকরো ভূমির কুক্ষিগত,
অধিকারের লোভে,
এক ভাই আর এক ভাইয়ের-
রক্ত বিন্দু দিয়ে উদ্দাম
নৃত্য নেচেছিল- অভাবে?
সেদিনও নির্বাক ছিলে তুমি!
তোমার ভাষা বুছেছিল আগামী?


তুমি বোধয় টের পাওনি
ঐ ধূসর কালো মেঘ তলে তলে,
রচনা করেছিল
তোমার জন্যও চক্রবুহ্য ।
কাঠ ঠোকরারা বাসা বেঁধে ছিল,
বুকে বেঁধে আদরে লালন পালন
করেছো দিনদিন।
চক্রবুহ্যের তারাও কারিগর
তারাও সামিল।


তোমার নির্বিকার -
দাম্ভিক,দম্ভের শরীরেও
থাবা বসলো।
চিৎকার করে বললে-
নির্বিকার নয়,পরিবর্ধন নয়,
চাই -পরিবর্তন আর
পরিমার্জিত এক সুনিবিড় বন্ধন ।