মন্দিরে মন্দিরে ঘন্টার ধ্বনি
মানব প্রাচীরে আরাধনা আগমনীর।
সম্প্রীতির রীতি নীতিতে আবাহন
ঘরে ঘরে মাতৃ বন্দনার আয়োজন ।


গ্রাম গঞ্জ মুখরিত শহর তলি,
আগামনির বাজনা
পথের অলি গলি ।
খুশিতে ডাগমগ
শিশু থেকে বুড়ো,
আগামনির আবাহনে
হচ্ছে সবাই জড়ো।
পত্রে পত্রে খুশির ঢেউ,
কাশ ফুলের ঐ বনে,
প্রেমিক প্রেমিক ভাব
এলো যে মনে।


পাঞ্চমীতে ফুলের সাথে রেকাব
হাতে মণ্ডপেতে তুমি,
প্রেমের ভাবে মজল মোর
পাগল মনভূমি।


আলতা পাড়ে হলদি শাড়ী
তুমি অপরুপা,
করলে চুরি মন আমার
সেই যে প্রথম দেখা।
ষষ্ঠী গেল অপেক্ষা করে
বিফল মনোরথে,
সময় গেল পথ চেয়ে আসবে
তুমি পুজোর থালি হাতে ।


হালকা হালকা খোলা চুলে
বাঁকা ঠোঁটে হাসি মধুর মুখে,
আসছো তুমি পা ফেলে
পটল চেরা কাজল হরিণ চোখে।


প্রথম দেখায় ভেবে মরি
প্রেয়সী তুমি মোর,
কখন কাটবে সময়,হবে
সকাল সপ্তমীর ভোর।
সপ্তমীতে মণ্ডপেতে এলে
সখি সনে।
মর্মে মর্মে মোরে গেলাম
পলক দেখা হতে ।


মনের ভিতর উতল হাওয়া
বাড়লো ঝড়ের গতি,
প্রেমের কথা মনে মনে শুধু,
তুমি আমার সখী।


মনে মনে অন্তর্দ্বন্দ্ব টানা
পড়নে মরি,
কি করে বোঝাবো সখি !
বুকের ভেতর ভাসছে প্রেমের তরী।
খোলা চুলে ,আঁচল ঝুলে
বাঁকা চোখের তারা।
রূপের ছটায় হাবুডুবু আমি,
হলাম দিশেহারা ।


দুটি গালে টোল ফেলে
হরিণ চোখের রূপ,
হৃদগতি বাড়লো মোর ,
উথাল পাথাল মনের অন্ত:পুর।
অষ্টমীতে গোলাপ হাতে এলাম মণ্ডপেতে,
হৃদির কথা বলব তোমার সাথে ।


মনের মাঝে নানান
রূপের ছবি বোঝাই,
সাথে নিয়ে এলে
সাধের প্রেমিক মশাই।
এক লহমায়,
শুকিয়ে গেলো মনের গোলাপ,
হাতের গোলাপ,
সখি তুমি কার?
বিড় বিড়িয়ে শুধু প্রলাপ ।


ফিরে এলাম বিফল হয়ে,
গোলাপ কাঁটার খোঁচা খেয়ে ।
নবমী গেল মনের শোকে,
আপন ভাবলাম সখি কাকে?


দশমীতে  আবার পেলাম দেখা
মায়ের সাথে আবির মাখা
সাথে আছে প্রেমিক ঠাকুর
বিষণ্ণ মনে কাটলো  দুপুর।


মেনে নিলাম হাসি মুখে
মনের মাঝে স্মৃতি রেখে।