চোর ধরা
।।।।।।।।।।।
চিৎকারের শব্দটা ধীরে ধীরে বাড়ছে
তীব্র হচ্ছে শোরগোলের আওয়াজ।
ছুটছে সবাই প্রানপনে
পালে যেন বাঘ পড়েছে
ছুটছে ঊর্ধ্বশ্বাসে ছুটছে খালি পায়।
অমান্য করা যাবে না
ডাক দিয়েছে প্রানের অধিরাজ।


হাতে লাঠি রড, কোদাল বেলচা
ঝাঁটা কাটারী বঁটি আরো কত কি।
ছুটছে সবাই বাবুদের ঘরে,
বহু মূল্য রত্ন গহনা চুরি করে
কারা যেন নিয়ে গেছে দিন দুপুরে।
বাবুর তলব,
তাই সবার ঘুম ছুটে গেছে
সবাই আজ একমুখী স্রোতে ছুটছে একই সুরে।


এ কোন পোঁড়া দেশে বাঁচি
সুখে নয় দুঃখে শুধু হাসি।
বাবুর চুরি রুখে দিতে হবে,  
চোর ধরা চাই তাই সবই
বদ্ধ পরিকর।
না হলে বাবুদের মান মার্য্যাদা হবে  হানিকর।


এই পোঁড়া দেশে সবাই আজ
মুখ পোঁড়া।
এরা লেজে নয় মুখে নিয়েছে আগুন
বাবুর বাড়ি চুরি হলে
জ্বলে হয় তেলে বেগুন।


প্রতিদিন হাজারো ঘরে
দিনে রাতে কিংবা দ্বিপ্রহরে।
চুরি যায় মা বোনের সম্ভ্রম
তখন কি বিবেকে লাগে না ছেঁকা,
তখন কি এই অনুগত,অনুচর
জনতার হয় দৃষ্টিভ্রম,
হয় পথভ্রম,না হয় বুদ্ধিভ্রম?
তখন এরা নীরব নির্বিকার
কার্য কালে কর্ণের মত হয় বুদ্ধিনাশ?
হয় সর্পদ্রষ্ট মেরুদন্ড হীন অক্ষম?


জনতার ভিড়ে তোমারই মাথার পরে
মা বোনের সম্ভ্রম লুট করে
দিনে রাতে যারা রাজ করে,
আর কত দিন তোমার ঘরের দেবীর মান সম্মান
তারা ধুলায় লুটায়ে দেবে উজাড় করে।
যে একতা দেখালে তোমরা
বাবুর বহু মূল্য রত্ন চুরির তরে।
তাঁরই ছিঁটে ফোঁটা একসাথে
জড়ো করে সমস্বরে গলাতুলে
বলো জাগোরে জাগোরে আজ
ফেলে রেখে সব কাজ
সময় নেই আর
এক সুরে বলো আবার
বাবুদের রত্নের চেয়ে
মোদের মা বোনের সম্ভ্রম
অনেক বেশি মূল্যবান।


দিনে রাতে দ্বিপ্রহরে সাজগ মোরা,
হাতে মোদের আছে একলব্যের
শব্দ ভেদীবাণ।
রুখব মোরা ঘরের দেবী,
মা বোনেদের সম্মান।