চৌত্রিশ নম্বর টা আমায় দিও
/////////////////////////////


হরিহর আজ একটু ব্যস্ত
অনেক লাশ লাইনে রয়েছে
পাঁচটা চিতা একা সামলায় ।
শুধু গুণতি করে যায়
আর কত গুলো বাকি।
এটা কত নম্বরের?
আজ তার কাঁধে মহাদায়িত্ব
নিজের হাতে জ্বালাবে স্বজনের চিতা।


হরিহর ডম
গত কুড়ি বছর ধরে
নির্দ্বিধায় নির্ভয়ে নিষ্ঠার সাথে
করছে  চলেছে মড়া পোড়ানোর কাজ।
কোনো দিনও হাত কাঁপেনি
কোনো দিনও বুক কাঁপেনি।
কখনো আসেনি চোখে এক বিন্দু জল ।


আজ-
হাত আর চলছে না
বুক ,হাত পা শরীর মন একসাথে কাঁপছে
চোখ দুটো জলের ধারায় ভরে গেছে।
বারবার নম্বর দুটো গুনছে


তেত্রিশ ,পঁয়ত্রিশ
বিচ্ছেদের রেখাটা শ্মশানেও স্পষ্ট।
জীবনের অবলম্বন
বাঁচার অক্সিজেন বউ ছেলে,
একসাথে দুটো ভিন্ন চিতায়।
জীবনের হাজারো স্মৃতির সাথে
জুড়ে গেল আর দুটো নম্বরের স্মৃতি
তেত্রিশ আর পঁয়ত্রিশ।


আধ জ্বলা বাঁশটা মাটিতে ঠুকে
হাঁটু মুড়ে মাটিতে বসল,
গুমরে মরা কান্নার সাথে বলল
প্রভু,
একসাথে পাশাপাশি থাকতে চাই
চৌত্রিশ নাম্বারটা আমায় দিও।