দাও কমন্ডুলের জল
///////////////////////////////////////
জাগরণ নবজাগরণের মধ্য বিস্তর দ্বন্দ্ব,
যোগ বিয়োগের খেলায় যোদ্ধা সহযোদ্ধা এক লাইনে
সহমর্মী,সহধর্মী অলীক প্রস্থরিভুত জীবাশ্মে পরিণত।
অতি রঞ্জিত অপরাহ্নে-
দাঁড়িয়ে আবাল বৃদ্ধ বনিতা,
ঊষার পানে চেয়ে,
নিদ্রাছন্ন আবেশী নয়নে।

কৌপিন পরিহিত যোগী,
কমন্ডুল হাতে পায়ে পায়ে ঊষা অভিমুখে।
সূর্য্য স্নান?ব্রত ভঙ্গন?
না উপাসনার আয়োজনে?


লজ্জা নিবারণের অংশ টুকু
আবৃত এক খন্ড বস্ত্রে
সড়ক পারে-
হাড় ঝিরেঝিরে বালক
বোধয় যোগীর যোগ্য উত্তরসুরি।
নাকি বেআব্রু শোষিত সমাজের
খোলনলচে প্রতীক।


কনকনে শীতে প্রজন্মের কিছু
কথিত শৃঙ্খল,শৃঙ্খলা-ভাবাচারী
সুরাপনে মগ্ন উষ্ণতার জন্য!
নাকি পতনের সম্মুখে দাঁড়িয়ে?
উত্তর কালের যোগী
এগিয়ে ঘর মুখে।
বিরক্তি ভরা মুখে,
দূষিতগঙ্গার জল!
হাতে ভর্তি কমন্ডুল।

কৌপিন পরিহিত বালক
চেঁচিয়ে বলে
একটু গঙ্গা জল ছড়িয়ে দাও!
শুদ্ধ হোক অন্তর,আত্মা,ধরা।
তোমার কমন্ডুলে
হোক না দূষিত গঙ্গা জল।